উপকূলের ১৫ কি.মি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত

5

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে চট্টগ্রাম উপকূলের চার উপজেলার ১৫ কি.মি বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত সোমবার সিত্রাংয়ের আঘাতের পর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের তালিকা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পাউবোর দেয়া তথ্যমতে, যেখানেই মাটির অস্থায়ী বাঁধ আছে সেখানেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে লোকালয়ে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। ব্লক বসানো স্থায়ী বাঁধে বড়ধরনের ক্ষতি হয়নি। জোয়ারের উচ্চতা বাড়ায় বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।
সূত্র জানায়, স›দ্বীপের আড়াই কিলোমিটার, বাঁশখালীর দশ কিলোমিটার, সীতাকুন্ডের দেড় কিলোমিটার ও আনোয়ারায় এক কিলোমিটার এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে স›দ্বীপের সারিকাইত, মগধরা, বাংলাবাজার, সোয়াখালী, কালাপানিয়া, বাঁশখালীর ছনুয়া, রাতাখোর্দ্দ, বৈলগাঁও, সরল, চাম্বল, শেখেরখীল, খানখানাবাদ ও গন্ডামারা, সীতাকুন্ডের সোনাছড়ি ও বাঁশবাড়িয়ার মাটির বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ডের সাগর অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাঁশখালীতে বঙ্গোসাগর, শঙ্খনদী ও জলকদর খালের বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান পূর্বদেশকে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে দ্রূত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জোয়ারের পানি যাতে এলাকায় ঢুকতে না পারে সেই ব্যবস্থাই করছি। ঘূর্ণিঝড়ে শুধুমাত্র অরক্ষিত অংশ দিয়েই পানি প্রবেশ করেছে বলে জানান তিনি।