উখিয়া থেকে আরসা প্রধানের ভাই শাহ আলী গ্রেপ্তার

4

উখিয়া প্রতিনিধি

উখিয়া উপজেলার একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যিনি নিজেকে মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সংগঠন ‘আরসার প্রধানের ভাই’ বলে দাবি করেছেন। গতকাল রবিবার ভোর সাড়ে ৪টায় উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকা থেকে মো. শাহ আলীকে (৫৫) আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ১৪-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক নাইমুল হক।
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলী জানিয়েছেন, তিনি আরসা বাহিনীর প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর ভাই। ভাই আতাউল্লাহর সঙ্গে তার (শাহ আলী) নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।’
এপিবিএন অধিনায়ক দাবি করেন, এ সময় তার কাছ থেকে এক হাজার ইয়াবা, দেশে তৈরি একটি বন্দুক ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
আরাকান রিপাবলিকান স্যালভেশন আর্মি- আরসাকে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র সংগঠন মনে করে মিয়ানমার; যেটি দেশটিতে নিষিদ্ধ রয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের শেষদিকে উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের নেতা মোহাম্মদ মহিবুল্লাহকে হত্যার পিছনে এই সংগঠনটির হাত ছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। যদিও কয়েকদিন পরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোনো আরসা নেই।
নাইমুল হক বলেন, ‘রবিবার ভোরে উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কতিপয় সশস্ত্র দুর্বৃত্ত বড় ধরনের অপরাধ সংঘটনের জন্য জড়ো হয়েছে খবরে এপিবিএন-এর একটি দল অভিযান চালায়। এতে এপিবিএন সদস্যরা ড্রোনের সাহায্যে অপরাধীদের অবস্থান শনাক্ত করে। এক পর্যায়ে ক্যাম্পটির নৌকার মাঠ এলাকায় সাদিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে এক ব্যক্তি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে এপিবিএন সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে।’
সাদিকুলের বরাত দিয়ে অধিনায়ক নাইমুল হক জানান, ‘কতিপয় দুর্বৃত্ত তাকে (সাদিকুল) আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে। এসব দুর্বৃত্ত তার কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ টাকা দাবি করে আসছিল। আর টাকা দিতে না পারলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছিল।’
পুলিশ সুপার নাইমুল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক শাহ আলী ও তার সহযোগীদের কোনো অপতৎপরতা রয়েছে কি-না তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ চালছে।’
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান ১৪-এপিবিএন অধিনায়ক।