উখিয়ায় ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে

5

উখিয়া প্রতিনিধি

নারী এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যা মামলায় হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এম মঞ্জুর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মঞ্জুর আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তার আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার সুযোগে ওই পরিষদে যাওয়া ইপসা নামে এক বেসরকারি সংস্থার নারী কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত দুই বছর যাবৎ শারীরিক সম্পর্কে জড়ায় মঞ্জুর আলম। তাকে বিয়ে করার জন্য ৩০০ টাকার একটি ¯ট্যাম্পে বিয়ের ফর্দনামাও করেছিলেন এই জনপ্রতিনিধি। এর মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই নারী এনজিও কর্মী। তাকে ফুসলিয়ে ওষুধ খাইয়ে তার গর্ভপাত ঘটান মামলার প্রধান আসামি মঞ্জুর আলম। গত ৪ জানুয়ারি বিয়ের কাবিনামার কথা বলে ওই নারীকে উখিয়ার মরিচ্যা বাজারে মঞ্জুর আলমের বাসায় এনে মারধর করা হয়।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মেয়েটিকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় ভিকটিম উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন পলাতক থেকে ইউপি সদস্য মঞ্জুর উচ্চ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু উচ্চ আদালতে তাকে জামিন না দিয়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। বুধবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে মঞ্জুরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।