ঈদগাঁওয়ে চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেটে জমি দখল

2

ঈদগাঁও প্রতিনিধি

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এতে ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা। আদালতে মামলা ও থানায় অভিযোগ দেওয়ায় চক্রটি ক্ষুব্ধ হয়ে এ ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারীরা। ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস হাফেজের ঘোনায় এ ঘটনা ঘটে।
হাফেজের ঘোনা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান জানান, ‘গোমাতলী হাফেজের ঘোনা মৌজা আরএস খতিয়ান ৩১১/৪২ নং আরএস ২৪৮৮, ২৪৮৯ দাগের ৮৪/৪, ৮৪/৫ তৎমতে বিএস ২৫নং খতিয়ানের বিএস ১০৮, ১১১, ১০২, ১১০ দাগের এবং বিএস ৩৭৩নং খতিয়ানের বিএস ১০৪, ১০৮, ১১১, ১০২, ১১০ দাগের সৃজিত বিএস ১২৩৯নং স্থায়ী বন্দোবস্তীকৃত, পৈত্রিক ও খরিদা মালিকানাধীন প্রায় ৬শ কানি চিংড়ি ও লবণ মাঠের জমি দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগ দখলে রয়েছি। বর্তমান জরিপে এ সম্পত্তি আমাদের নামে রেকর্ডসহ কর-খাজনাও পরিশোধ রয়েছে।কিন্তু উত্তর নাপিতখালী গ্রামের নুর মোহাম্মদ, শের আলী গং এ সম্পত্তি জবরদখল করার অপচেষ্টা করে আসছে। শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে গত ২০১৮ সালে তাদের সম্পত্তি আলাদা করে তারা পৃথক চিংড়ি ঘেরে চাষাবাদ করছেন। কিন্তু সম্প্রতি উক্ত গং আমাদের জায়গা জবরদখল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। এ ঘটনায় গত ২ জানুয়ারি ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ঈদগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কক্সবাজারে ডা. হারুন রশিদ গং বাদী হয়ে গত ৯ জানুয়ারি ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারায় নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়।’
মুজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘আদালতের নির্দেশ ও থানায় অভিযোগ দেয়ায় নুর মোহাম্মদ-শের আলী গং ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৮ জানুয়ারি রাতে পাহারাদার আবদুর রশিদ খুলুনি ও নাছির উদ্দীনকে জিম্মি করে ঘেরের বাঁধ কেটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছেন এবং জমিতে না যাওয়ার জন্য জীবননাশসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।’
হাফেজের ঘোনা চিংড়িঘের মালিক ও চাষীরা অভিযোগ করেন, নুর মোহাম্মদ-শের আলীর নেতৃত্বে প্রভাবশালী চক্রটি কদিন ধরে থেমে থেমে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করে হাফেজের ঘোনার খালটি দখলে নিয়েছে। পাশাপাশি খালের আশপাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ জায়গাও দখলে নিচ্ছে তারা। বর্তমানে সেখানে তারা চিংড়ি ঘেরের খামার ঘর তৈরি করছে।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বলেন, ‘গোমাতলী নাপিতখালী মৌজার হাফেজের ঘোনা চিংড়ি ঘেরের সরকারি খাল দখল করার চেষ্ঠা করছে একটি মহল। এ ধরনের অভিযোগ একজন জানিয়েছে। ব্যাপারটি আমি ওয়াকিবহাল।’ তিনি বলেন, ‘উভয় পক্ষের বৈঠকে ডিসি থেকে ইজারা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এরপরও তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’