ইউএনও’র সামনে সিএনজি চালককে পেটালো আনসার

28

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালীর গুনাগরী মোড়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে মো. ওয়াসিম নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে পেটালেন আনসার সদস্য। গতকাল দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এসময় গুনাগরীর মোড়ের উভয় পাশে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া বাঁশখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোন্দকার মাহমুদুল হাসান পূর্বদেশকে বলেন, ‘গুনাগরীতে ইউএনও স্যারের সাথে কি হয়েছে জানি না। তবে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যখন যাই তখন পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সড়ক অবরোধের বিষয়টি আমার জানা নেই।’ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুনাগরী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে কিছু অস্থায়ী দোকান কিছুদিন আগে উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করার পর সেখানে ড্রেনের উপর স্ল্যাব বসিয়ে চলাচলের রাস্তা করা হয়। আগে সিএনজি অটোরিকশাগুলো এসব অস্থায়ী দোকানের সামনে রাখলেও এখন প্রধান সড়কেই পার্কিং করেন চালকররা। গতকাল দুপুর ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী এসে সিএনজি অটোরিকশাগুলো সড়ক থেকে সরাতে বলেন। এসময় সাথে থাকা আল আমিন নামে এক আনসার সদস্য ও ইউএনও’র গাড়িচালক একজন সিএনজি চালককে মারধর করেন। ইউএনও’র সামনে ওই চালককে মারধরের ঘটনায় উপস্থিত অন্যান্য সিএনজি চালকরা উত্তেজিত হয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। এসময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ঊঠলে প্রশাসনের লোকজন ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঢুকে পড়েন। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রায় ৪০ মিনিট সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে গুনাগরী মোড়ের চার পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্যে ইউএনও বলেন, ‘আপনারা আমাকে একটু সুযোগ দেন, আপনারা ন্যায়বিচার পাবেন, প্রতিবাদ বন্ধ করেন।’ একপর্যায়ে তিনিও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঢুকে যান।
গুনাগরী সিএনজি অটোরিকশা এসোসিয়েশনের এক নেতা পূর্বদেশকে বলেন, ‘ইউএনও এসে সড়ক থেকে সিএনজি সরাতে বলেন। সিএনজি চালকরা গাড়ি সরানোর আগেই ইউএনও’র সাথে থাকা একজন আনসার সদস্য এক সিএনজি চালককে মারধর করে। তখন সিএনজি চালককে মারধরের ঘটনার বিচার দাবি করে উপস্থিত অন্যান্য চালকরা রাস্তা অবরোধ করে। এসময় সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। ইউএনওর দিকেও তেড়ে যান উত্তেজিত কিছু সিএনজি চালক।