আরো এক দফা বাড়ল হজ নিবন্ধনের সময়

20

পূর্বদেশ ডেস্ক

হজে যেতে প্রত্যাশিত নিবন্ধন না হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের সময়সীমা দ্বিতীয় দফায় ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাদের প্রাক নিবন্ধনের ক্রমিক নম্বর ৪৫ হাজার ৫১৪ এর মধ্যে পড়েছে, তারা হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন সারতে পারবেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাদের প্রাক নিবন্ধনের ক্রমিক নম্বর ৮ লাখ ৪৬৭ পর্যন্ত, তারা নিবন্ধন করতে পারবেন।
এবারের হজযাত্রীর কোটা পূর্ণ হয়ে গেলে সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
বর্তমানে হজে যেতে হলে প্রথম ধাপে প্রাক-নিবন্ধন করতে হয়। সারা বছরই এই প্রাক-নিবন্ধন করা যায়, যেটি সম্পন্ন করলে একটি নম্বর দেওয়া হয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সেই নম্বর হজের জন্য নির্বাচিত হলে তা এসএমএস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যাশিত নিবন্ধন না হওয়ায় ক্রমিক নম্বর বাড়িয়ে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলো।
এ বছরের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় ৮ ফেব্রæয়ারি, তা ২৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২৮ ফেব্রæয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল প্রথম দফায়। কিন্তু এই সময়সীমা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন ৭ হাজার ৪২০ জন হজযাত্রী আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন করেছেন মাত্র ২৫ হাজার ৯৩৬ জন।
অথচ সৌদি সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে যেতে পারবেন। তার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার আর ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করতে যাওয়ার কথা।
নিবন্ধনে ভাটা পড়ার পেছনে হজের খরচ বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন হজ এজেন্টরা। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা।
এ বছর শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন ঢাকায় হবে, থাকছে না ৬৫ বছরের বয়সসীমা। তবে ১২ বছরের কম বয়সী কেউ হজে যেতে পারবে না। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ শুরু হবে ২৭ জুন। খবর বিডিনিউজের