আনোয়ারায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩ দোকান লুট, মারধর

26

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারা উপজেলায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাত দেড়টায় বারখাইন ইউনিয়নের ভরার পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় সশস্ত্র ডাকাতরা মুদির দোকানি জিয়াউদ্দিন বাবু ও কর্মচারী শাহাদাতের হাত ও মুখ স্কচ টেপ দিয়ে বেঁধে মারধর করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা দোকানে থাকা নগদ টাকা, সয়াবিন তেল, সিগারেট, চাপাতা, বৈদ্যুতিক তার, বাল্ব ও টর্চ-লাইটসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় দোকানি জিয়াউদ্দিন বাবু থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুছা। এছাড়া স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ^জিৎ মজুমদার বিশুও পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
সূত্র জানায়, বারখাইন ইউনিয়নের ভরার পুকুর পাড় এলাকায় একসাথে ইলেকট্রিক সামগ্রী, গ্যাস ও মুদির দোকান করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী জিয়াউদ্দিন জিয়া। ঘটনার দিন চট্টগ্রাম থেকে দোকানের জন্য আনা মালামাল সাজিয়ে রাখছিলেন জিয়া এবং তার কর্মচারী। এসময় একটি ট্রাক এসে তাদের দোকানের সামনে দাঁড়ায়। ট্রাক থেকে ৭-৮ জনের মুখোশ পরা সশস্ত্র ডাকাতের একটি দল জিয়াউদ্দিনের দোকানে ঢুকে এত রাত পর্যন্ত দোকান কেন খোলা রেখেছে তা জানতে চায়। একপর্যায়ে তারা দোকানি জিয়া এবং তার কর্মচারীর হাত বেঁধে পাশের দোকানে নিয়ে স্কচ টেপ দিয়ে মুখ বেঁধে পেটাতে থাকে। নগদ টাকা কোথায় আছে সেটি জানতে আরো বেশি মারধর করে। প্রায় একঘণ্টা তান্ডব চালিয়ে দোকানের মালামাল তছনছ করে মূল্যবান মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যায়।
দোকানি জিয়াউদ্দিন জিয়া বলেন, মুখে স্কচ টেপ লাগানোয় দম বন্ধ হয়ে আসছিল। মনে হচ্ছিল মারা যাব। আমাদের চোখের সামনে তারা সব মালামাল ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ডাকাতরা চলে যাবার পর আমরা হামাগুড়ি দিয়ে রাস্তায় বের হই। গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে লোকজন আমাদের বাঁধন খুলে দেয়।
আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।