আত্মসমর্পণে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পেলেন ড. ইউনূস

83

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া শ্রম আদালতের তিন মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিতে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ড. ইউনূসের আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
পরে তিনি জানান, ড. ইউনূস দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
মামলার সূত্রে জানা যায়, ড. ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনসে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। অন্য দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন আদালতে উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেন।
গত ৯ অক্টোবর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী রাজু আহম্মেদ আদালতে শুনানি করেন। তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমানে তিনি (ড. ইউনূস) ব্যবসার কাজে বিদেশ অবস্থান করছেন, তাই তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব ছিল না। তিনি দেশে এলে আদালতে উপস্থিত হবেন। তাই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি না করার জন্য তিনি (রাজু আহম্মেদ) আবেদন করেন।
শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশে থাকায় তাকে (আইনজীবী) ওকালতনামা (মামলা পরিচালনার ক্ষমতাপত্র) না দেওয়ায় তার পক্ষে আবেদন জমা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আদালত ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গ্রামীণ কমিউনিকেশনসের সদ্য চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী। এরপর আদালত আসামিদের উপস্থিতির জন্য সমন ইস্যু (নোটিশ) করেন।
ওই তিন মামলার বাদীরা হলেন প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশনস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, একই সংগঠনের প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সংগঠনটির সদস্য এমরানুল হক।