আওয়ামী লীগের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে : খসরু

18

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলনের জোয়ার শুরু হয়েছে। নেতাকর্মীদের সাহস দেখতে পাচ্ছি। সমর্থকরাও রাস্তায় নেমে আসছে। বাংলাদেশে এবং বিদেশে একটি কথা উঠে আসছে, শেখ হাসিনা আর কতদিন থাকবেন? আওয়ামী লীগ এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। তাদের নেত্রী, সাধারণ সম্পাদকের কথায় বুঝতে পারছেন, তাদের মধ্যে একটা বড় ধরনের হতাশা কাজ করছে। তারা ইতোমধ্যে তর্জন-গর্জন শুরু করেছে। আসলে যত গর্জে তত বর্ষে না। যখন গর্জন বাড়তে থাকবে, দুর্বলতা ততবেশি বাড়বে। আওয়ামী লীগের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। সময়ের অপেক্ষা, হাসিনার লোকজনও আন্দোলনে চলে আসবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন কর্মসূচি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের তর্জন-গর্জনের দরকার হবে না। আমাদের গর্জন হবে কাজের মধ্যে দিয়ে। বেশি কথা বলে আন্দোলন এগিয়ে যাবে না। আমাদের আন্দোলন পরিকল্পিত। সুতরাং বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে সরানো যাবে না। পরিকল্পিত আন্দোলনে সরকারের পতন হবে। আমাদের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য সুশৃঙ্খল এবং জনসম্পৃক্ততা। এই সরকারকে পতন ঘটাতে হলে, জনসম্পৃক্ততাকে কাজে লাগাতে হবে। কারণ আন্দোলনে আমাদের সুবিধা হলো, দেশের জনগণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলে গেছে। তারা টাকা দিয়ে, মাস্তান দিয়ে যে কাজটি করতে পারবে না, সেটি আমরা সাধারণ জনগণকে দিয়ে করতে পারবো। তিনি বলেন, আমরা ২ হাজার লোক যদি প্রাণও দিই, তাহলেও শেখ হাসিনার পতন সম্ভব না। এইজন্য লাখ লাখ লোক নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। মানুষ যখন রাস্তায় নেমে যাবে, তখন শেখ হাসিনার আশপাশের লোকজনও এদিকে ধাবিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে এক ঘণ্টার ডাকে পুরো নগর অচল করার মতো নেতা আছে। কোন জেলায় যদি আন্দোলনের নেতা প্রয়োজন হয়, তাহলে চট্টগ্রাম নগর থেকে নিয়ে যান। এদের নখদর্পনে পুরো নগর। আওয়ামী লীগের ব্যাপরে সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না, আঙ্গুল বাঁকা করতে হবে। এখন নেতাকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে নেতাকর্মীদের নিয়ে। বিএনপি কোন বাহিনীর দল নয়, বিএনপি জনগণের দল। নেতারা এবার ঈমানি দায়িত্ব পালন করে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ফেসবুকে ছবি তোলার জন্য এই আন্দোলন নয়, কঠিন আন্দোলন করতে হবে। চট্টগ্রামের নেতারা যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে চট্টগ্রাম থেকেই সরকারের পতন হবে। আমাদের কথা হবে কম, কাজ হবে বেশী।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় মনিটরিং টিমের প্রধান মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, ড. মামুন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির আহŸায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ম্যা মা চিং, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশিদ, সহ গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহ আইন সম্পাদক এড. জাকির হোসেন, সহ ধর্ম সম্পাদক এড. দীপেন দেওয়ান, সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, মনি স্বপন দেওয়ান, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ভূইয়া, দক্ষিণ জেলার আহŸায়ক আবু সুফিয়ান, নোয়াখালীর সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, লক্ষীপুরের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সাবু, রাঙামাটি জেলার সভাপতি দীপেন তালুকদার দীপু, বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, সাচিং প্রু জেরী, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, কাজী মুফিজুর রহমান, মশিয়ুর রহমান বিপ্লব, এবিএম জাকারিয়া, এড. তাহেরুল ইসলাম, ফোরকান ই আলম, তরিকুল ইসলাম তেনজিং, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, নোয়াখালী জেলার সাধারন সম্পাদক আবদুর রহমান, ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন আলাল, উত্তর জেলার যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি শওকত আজম খাজা, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রবিউল হাসান পলাশ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, ছাত্রদলের আহŸায়ক সাইফুল আলম প্রমুখ।