চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে ‘রিসার্চ ম্যাথড ইন ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শ্রেণিকক্ষে ‘অপরাধ বিজ্ঞান ও অপরাধ বিচার ব্যবস্থা গবেষণা পদ্ধতি’ শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চবি ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসাইন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ। রিসোর্স পার্সন ও প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রথম দায়িত্ব হলো কোনটি অপরাধ আর কোনটি অপরাধ নয় এগুলো নিয়ে গবেষণা করা। ক্রিমিনোলজি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগ হওয়ার কারণ হলো- যারা অপরাধ নিয়ে কাজ করবে, তাদেরকে সমাজের মানুষের গতিবিধি বুঝতে হবে। মানুষের পরিবর্তনের পেছনের কারণগুলো খুঁজতে হবে আমাদের। কেউ চুরি করলেই সেটাকে সরাসরি অপরাধ বলছি আমরা, অথচ এর পেছনে অন্যকিছু আছে কি-না সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি না। খবর বাংলানিউজের
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পুলিশ প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য কোনও সংস্কার হয়নি। উন্নত দেশগুলোর মতো কেন আমাদের এ সেক্টরে পরিবর্তন হচ্ছে না? এগুলো নিয়ে আপনাদের গবেষণা করতে হবে। প্রশাসনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কেউ নিয়োগ পেলে আমরা সবাই তাকে সম্মান করছি, সংবর্ধনা দিচ্ছি। অথচ এর পেছনেও রয়েছে আমাদের অসৎ উদ্দেশ্য। আমরা কোনো সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য এ কাজগুলো করছি। কথিত এ সম্মানও এক ধরনের অপরাধ। যদিও এটাকে সরাসরি আমরা অপরাধ বলতে পারি না। তবে ক্রিমিনোলজির ছাত্র হিসেবে আপনারা প্রশাসনের যে পর্যায়েই যাবেন, কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে ভেবে দেখবেন আসলেই এটা অপরাধ কি-না?
সেমিনারে আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ। এছাড়া সেমিনারে ক্রিমিনোলজি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
