অনুমতি মিলেনি বন্ধই থাকছে পুঁজিবাজার

19

আগামী ১০ মে থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ লেনদেন চালু করতে চাইলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি মেলেনি; ফলে সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে ১৬ মে পর্যন্তই বন্ধ থাকছে পুঁজিবাজার। দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে পুঁজিবাজারে লেনদেনও সেদিন থেকে বন্ধ হয়।
সম্প্রতি সরকার লকডাউনের কিছু বিধি নিষেধ শিথিল করলে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ১০ মে থেকে পুঁজিবাজার খুলতে বিএসইসির অনুমতি চায়। কিন্তু সেই অনুমতি না মেলায় সরকার ঘোষিত বর্ধিত ছুটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৬ মে পর্যন্তই বন্ধ থাকছে দুই পুঁজিবাজারে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তানিয়া বেগম বলেন, সরকার ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দুই পুঁজিবাজারের সমস্ত কার্যক্রম ১৬ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার আপাতত খোলার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ডিএসই’র এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিএসইসিতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চেয়ারম্যান এবং কমিশনারসহ তিনজন সদস্য লাগে। কিন্তু কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং সরকার নতুন কাউকে নিয়োগ না দেওয়ায় এখন একজন কমিশনার এবং চেয়ারম্যানসহ মাত্র ২ জন সদস্য আছে। ফলে কোরাম ছাড়া সিদ্ধান্ত হবে না’। খবর বিডিনিউজের
ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা কিছু শর্ত দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লেনদেন শুরু করার অনুমতি চেয়েছিলাম। এখন যদি বিএসইসি অনুমতি দেয়, তাহলে আমরা লেনদেন চালু করব’।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা তানিয়া বলেন, তারাও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।