অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লির সব স্কুল-কলেজ বন্ধ

5

কোভিডের পর এবার মাত্রাতিরিক্ত বায়ু দূষণে ভারতের রাজধানী দিল্লির জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বাতাসের মান চরম অবনতির দিকে চলে যাওয়ায় অনেকেরই শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। ফলে নতুন করে অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লি ও আশেপাশের সব স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিডিনিউজের
জানা যায়, ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের নির্মাণকাজও বন্ধ থাকবে। একই সময় পর্যন্ত সরকারি অফিসগুলোতে ৫০ শতাংশ কর্মচারীকে বাসা থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দূষণের আশঙ্কায় রাজধানীর ১১টি তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ৫টি সচল রাখা হয়েছে। বাকি ৬টি বন্ধ। দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীগুলোর অন্যতম। প্রতি বছর শীতে তামপাত্রা হ্রাস পাওয়ার পর শহরটি ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়ে। নিম্ন তাপমাত্রায় শহরের আশপাশের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে আসা মারাত্মক দূষণকারী কণা, যানবাহন ও আবর্জনা পোড়ানোর ধোঁয়া আটকা পড়ে এই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়।
অবনতিশীল বায়ুদূষণের এই সংকট থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় শনিবার দিল্লির স্থানীয় সরকার এক সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে মঙ্গলবার রাতে দিল্লি ও আশপাশের অঞ্চলগুলোর বায়ুমান ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত কমিশন-সিএকিউএম নতুন করে স্কুল-কলেজ বন্ধরাখাসহ অন্যান্য সব নির্দেশনা জারি করেছে। জারি হওয়া ৯ পাতার নির্দেশিকার আওতায় বেসরকারি কার্যালয়গুলোকেও বাধ্যতামূলক ভাবে অর্ধেক কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। অফিসের কাজ বাসা থেকেই কেবল নয়, স্কুল-কলেজও আবার ফিরছে অনলাইনে। ঠিক যেমন হয়েছিল কোভিডে লকডাউন চলার সময়।
সিএকিউএম-এর নির্দেশে দিল্লি অর্থাৎ, এনসিআর এলাকায় সমস্ত ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করে কেউ নির্মাণ কাজ করলে কিংবা নির্মাণ সামগ্রী জড়ো করলে বড় অঙ্কের জরিমানা হবে। তাছাড়া, দিল্লিতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বাইরে থেকে ট্রাক ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ব্যতিক্রম কেবল জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী ট্রাক। ১৫ বছরের পুরনা পেট্রল গাড়ি ও ১০ বছরের পুরনো ডিজেল গাড়ি পথে বেরোতে পারবে না। অন্যান্য গাড়ির ক্ষেত্রে দূষণের মাত্রা মাপা হবে।
২১ নভেম্বর ফের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসবে সিএকিউএম। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিধি নিষেধ শিথিল করার সম্ভাবনা রয়েছে।