অগ্রিম টাকা দেয়ার পরও সরে না বিদ্যুতের খুঁটি

22

আনোয়ারা প্রতিনিধি

চুক্তিকৃত প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা অগ্রিম নিয়েও পিএবি সড়ক থেকে পুরাতন বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন না পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত ঠিকাদারেরা- এমন অভিযোগ করেছেন ছয় লেনের কাজ করা ঠিকাদারের লোকজন। পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছেমাফিক খুঁটি সরানোর কাজ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পিএবি সড়কের কালাবিবির দীঘির মোড় থেকে ক্রসিং ওয়াই জংশন পর্যন্ত মোট সাড়ে ৮.১০ কিলোমিটারের মধ্যে এখনো প্রায় চারশ পুরাতন বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। ফলে ছয় লেনের নির্মাণ কাজে প্রতিনিয়ত বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিই এবং সওজের কর্মকর্তারা। ফলে আগামি ডিসেম্বরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছয় লেনের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদাররা বলছেন অন্য কথা। তারা কাজ করতে না পারার জন্য দায়ী করছেন সওজকে।
পল্লী বিদ্যুতের মহাব্যবস্থাপক (পটিয়া জোনাল অফিস) আবু বকর ছিদ্দিক টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, টাকা নেয়াটা বিষয় না। টাকা ছাড়াও আমরা কাজ করে দিতাম। আমাদের নিয়োজিত ঠিকাদাররা কাজ অনেক করেছেন। বাকী কাজগুলো ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় করতে পারছেন না। সওজের দেখিয়ে দেয়া জায়গায় খুঁটি সরাতে গেলে স্থানীয় লোকজন বাঁধা দেয়। তবে, ভূমির বিষয়টি সমাধান হয়ে গেলে বাকী কাজগুলো করতে আমাদের মাত্র ১৫ দিন সময় লাগবে।
পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদার ঝুমুর বলেন, টাকা দিলে সেটা অফিসকে দিয়েছে বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার জন্য। আমাদেরকে জায়গা ঠিক করে না দিলে কাজতো করতে পারব না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনডিইর প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ আব্দুল হান্নান বলেন, খুঁটিগুলো না সরানোর কারণে আমাদের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের মেশিনগুলো এদিক সেদিক ঘুরানো যাচ্ছে না। পল্লী বিদ্যুৎ আর পিডিবির এখনো চারশ খুঁটি রয়ে গেছে। এগুলো দ্রæত সরিয়ে ফেলতে হবে।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা খুঁটিগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরিয়ে ফেলবে বলে জানিয়েছে।