অকেজো টিউবলাইট ফ্যাক্টরি হবে কনভেনশন সেন্টার

24

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাগরিয়া ইয়ার্ডে করা হয়েছিল টিউবলাইট ফ্যাক্টরি। গ্যাস সংযোগের অভাবে ১৪ বছরেও উৎপাদনে যেতে পারেনি এটি। অবশ্য এখন সিটি করপোরেশনে টিউবলাইটের চাহিদা নেই বললেই চলে। তাই ওই জায়গা আয়বর্ধক প্রকল্প হিসেবে অত্যাধুনিক ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কনভেনশন সেন্টার’ করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। বিপরীতে করপোরেশন নির্দিষ্ট অংকের মাসিক ভাড়া পাবে। আগামী ১ বছরের মধ্যে অত্যাধুনিক সুবিধাসহ কনভেনশন সেন্টারের বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে প্রায় ৩ হাজার লোক একসাথে সমাগম হওয়ার সবধরনের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
সিটি করপোরেশনের এস্টেট শাখা সূত্র জানিয়েছে, চসিকের সাগরিকা ইয়ার্ডে ১২ হাজার ১২৯ বর্গফুট জায়গার উপর এই ‘সিসিসি কনভেনশন’ করা হবে। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ ও পরিচালনা করবে এসএস করপোরেশন এন্ড সিন্ডিকেট নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। বিপরীতে সিটি করপোরেশন পাবে মাসে ৬০ হাজার টাকা ভাড়া এবং এককালীন ২৫ লাখ টাকা। প্রতি ৫ বছর অন্তর নবায়ন শর্তে ২৫ বছর পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ ধরা হয়েছে। এই বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির সত্ত¡াধিকারি সুমন দেব নাথ পূর্বদেশকে বলেন, সিটি করপোরেশন বিজ্ঞাপন অনুযায়ী আমার দরপত্র জমা দিয়েছিলাম। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমরা কাজটা পেয়েছি। আগামী সপ্তাহের দিকে আমরা ‘ওয়ার্কঅডার’ পেয়ে যাবো। তাহলে ১ বছরের মধ্যে আমরা কাজ শেষ করতে পারে। কনভেনশনটিতে ৩ হাজার লোক একসাথে সমাগম হতে পারে। ভবন হবে ডুপ্লেক্স ও সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও সর্বাধুনিক সকল সুবিধা নিশ্চিত করা হবে এই কনভেনশনে।
বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের এস্টেট অফিসার এখলাছ উদ্দিন আহমদ বলেন, সাগরিকা ইয়ার্ডের একটি জায়গায় ১৪ বছর আগে টিউবলাইট ফ্যাক্টরি করা হয়েছিল। কিন্তু উৎপাদনে যেতে না পারায় জায়গাটি দীর্ঘদিন অকেজো পড়ে ছিল। সে জায়গা আয়বর্ধক প্রকল্প হিসেবে কনভেনশন সেন্টার করার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন। গত মার্চে কারিগরী কমিটি ও এপ্রিলে আর্থিক কমিটি এই সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়। ফলে আমরা নিয়মানুযায়ী বিজ্ঞাপন দিয়ে টেন্ডার সম্পন্ন করি। ১ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব কোনো বিনিয়োগ ছাড়া পাবে রাজস্ব।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পূর্বদেশকে বলেন, ওই এলাকায় মানসম্মত তেমন কোনো কনভেনশন সেন্টার নেই। অত্যাধুনিক কনভেনশনটি হলে স্থানীয় লোকজন ওই সুবিধা নিতে পারবে। তাছাড়া সিটি করপোরেশন একটি নির্দিষ্ট অংকের রাজস্ব লাভ করবে। এতে সরাসরি সিটি করপোরেশনের কোনো আর্থিক বিনিয়োগ নেই। তাই নগরবাসীর সুবিধা ও সিটি করপোরেশনের রাজস্ব অর্জন দুটোই নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সে জায়গায় আগে থেকে টিউবলাইট ফ্যাক্টরি ছিল। কিন্তু গ্যাস সংযোগে অভাবে উৎপাদনে যেতে পারেনি। কার্যত জায়গাটিতে অবকাঠামোগুলো পরিত্যক্ত ছিল। তাই জায়গাটি ব্যবহারে এনে করপোরেশন ও নগরবাসীর উপকারে আসে এমন কিছু করার প্রয়াস থেকে উদ্যোগটি নেওয়া।