৬টি মাদার ভ্যাসেল কিনবে বিএসসি

58

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে দুইটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার, ১০টি লাইটার, দুইটি মাদার ট্যাংকার, দুইটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার কেনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির। গতকাল বুধবার দুপুরে সল্টগোলায় বিএসসি’র প্রধান কার্যালয়ে ৪২তম বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী রবিবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে বিএসসির এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসসির এমডি বলেন, রামপাল, পায়রা, মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য কয়লা আমদানি হচ্ছে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে কয়লা পরিবহনে নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই চেন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ৮০ হাজার টনের ২টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার এবং লাইটারিংয়ের জন্য ১০টি ১০-১৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার বাল্ক ক্যারিয়ার ক্রয় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আর ইস্টার্ন রিফাইনারির সব ক্রুড অয়েল বিএসসির নিজস্ব জাহাজে পরিবহনের জন্য দুইটি এক লাখ থেকে সোয়া লাখ টন ধারণক্ষমতার মাদার ট্যাংকার কেনার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বিপিসির ৩০ লাখ টন ডিজেল ও সাড়ে তিন লাখ টন জেট ফুয়েল পরিবহনের জন্য ৮০ টন ক্ষমতার মাদার অয়েল ট্যাংকার সংগ্রহের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে ছয়টি এলএনজি ভ্যাসেল সংগ্রহের প্রাথমিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমরা সরকার টু সরকার প্রক্রিয়ায় কম সুদে ঋণ নিয়ে জাহাজ সংগ্রহ করতে চায়।
এদিকে বিএসসি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা আয় করে। আর ১৭৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়। নিট লাভ হয় ৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। গত ১৫ অক্টোবর বিএসসি পরিচালনা পর্ষদের ৩০২তম সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে আয় ছিল ১২৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, আর ব্যয় হয়েছে ১১৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং নিট মুনাফা ছিল ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বর্তমানে বিএসসির বহরে জাহাজ রয়েছে আটটি। এর মধ্যে ২০১৮ সালে চীন থেকে কেনা ৩৯ হাজার টনের নতুন ছয়টি জাহাজ এমভি বাংলার জয়যাত্রা, এমভি বাংলার সমৃদ্ধি, বাংলার অর্জন, বাংলার অগ্রযাত্রা, বাংলার অগ্রদূত, বাংলার অগ্রগতি রয়েছে। এ ছাড়া ১৯৮৭ সালে ডেনমার্কে তৈরি বাংলার জ্যোতি ও বাংলার সৌরভ নামের দুইটি ১৪ হাজার ৫১৪ টনের ট্যাংকার রয়েছে।