স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারে হস্তক্ষেপ করছে না সরকার

19

দেশের গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে দাবি করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো রকম হস্তক্ষেপ করছে না। বর্তমান সরকারের সময় সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে। ইতোমধ্যে নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মী আইন চূড়ান্তকরণের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সদস্য আফজাল হোসেন। জবাবে তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, দেশের জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের মেয়াদে জাতীয় তথ্য বাতায়ন এবং ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করে তথ্য সেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় নেওয়া হয়েছে। সরকার জাতীয় স¤প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমবান্ধব সরকারের উদার স¤প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও এবং ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী জানান, অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমা পড়েছে। স¤প্রচার ও গণমাধ্যম সংক্রান্ত নীতিমালা ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি জানান, অনলাইন গণমাধ্যম রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জমাদান ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস হতে শুরু হয়েছে। এই পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৯৭টি রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে। প্রাপ্ত আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে তালিকাসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
সরকারি দলের সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, সকল সংবাদপত্রের গণমাধ্যমকর্মীর শতকরা ৪৫ ভাগ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে নবম ওয়েজ বোর্ডের গেজেট প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন ব্যতিত পত্রিকাসমূহের ওয়েজ বোর্ডপ্রাপ্তদের সমান হারে বিজ্ঞাপন হার প্রদানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সারাদেশের সাংবাদিকতার মানোন্নয়নের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।