সিইসি কৌশলে বলে দিয়েছেন : ড.কামাল

29

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘সুষ্ঠু না হওয়ার’ বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের মধ্য দিয়েই প্রকাশ পেয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন। নিজের দল গণফোরামের সভাপতি পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটে অনিয়মের’ কথা কৌশলে স্বীকার করেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের
গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় বিজয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। অপরদিকে তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে এই নির্বাচনে। দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি এবার কামাল হোসেন নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ভোটে গিয়েছিল। জোট শরিকদের মিলিয়ে মাত্র আটটি আসনে জয় পেয়েছে তারা।
নির্বাচনের আগের রাতে ‘ব্যালটে সিল মেরে ভোটের বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল’ বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা।
এর মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ভোটে অনিয়ম এড়াতে ইভিএমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “আগামীতে ভোটে ইভিএম শুরু করে দেব, তাহলে সেখানে আর রাতে বাক্স ভর্তি করার সুযোগ থাকবে না।”
তার ওই বক্তব্য ধরে কামাল হোসেন বলেন, “উনি (সিইসি) কায়দা করেই জানিয়েছেন যে, হয় নাই, সুষ্ঠু নির্বাচন হয় নাই। এই সেই মানুষটি কৌশলে তা বলেছেন। আমাদের শিশু গণতন্ত্র এখন। অর্থাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র-এই দাবিতে জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিল। গণতন্ত্রের জন্য জনগণ এখনো জেগে আছে, নতুন প্রজন্মও প্রত্যাশায় আছে। জনগণই ক্ষমতার মালিক, এটা অবশ্য যারা ক্ষমতাবান হবেন তাদের বুঝতে হবে।”
গণফোরামের সভাপতি পরিষদের বৈঠকে কামাল হোসেন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন বলে দলটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কামাল হোসেন বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের কলঙ্কিত তথাকথিত সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। ওই দিন বাংলাদেশের ভোটাররা তারা স্বচক্ষে দেখেছে, তারা বুঝেছে যে, ভোটটা কীভাবে হয়েছে। জনগণই ৩০ ডিসেম্বরের প্রতারণামূলক ভোট ডাকাতির সাক্ষী।”
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার’ জন্য জাতীয় ঐক্য জোরদার করার আহŸান জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি।