নাছিরের চেয়ে একদফা এগিয়ে রেজাউল

83

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গেলবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন সংগঠনের নগর সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। নির্বাচন উপলক্ষে ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচনী ইশতেহার। সেই ইশতেহারে তিনি ৩৬টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরমধ্যে জলবদ্ধতাকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।
এবার চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। মনোনয়ন পেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। নির্বাচনের চারদিন আগে গতকাল ঘোষিত ইশতেহারে ৩৭টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারের সাথে রেজাউল করিমের দেয়া ইশতেহারের প্রায় মিল রয়েছে। ঘুরেফিরে একই প্রতিশ্রæতিই দিয়েছেন দুই প্রার্থী।
গতবার আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের ইশতেহারে মেগাসিটি, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি, পাহাড় রক্ষা ও বনায়ন, পানি দূষণ রোধ, পানি সংকট নিরসন, জলাধার রক্ষা, কর্ণফুলী বাঁচান দেশ বাঁচান, শিক্ষার প্রসার, শিক্ষা সম্প্রসারণে অন্য প্রণোদনা, এতিমদের সুব্যবস্থা, তথ্য প্রযুক্তি ও স্বনির্ভরতা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণ, ডিজিটাল চট্টগ্রাম, যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, আবাসন সংকট নিরসন, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, ক্রীড়া ও বিনোদন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন, সাংস্কৃতিক কর্মযজ্ঞ, সামাজিক কর্মসূচি, পথচারী টয়লেট উন্নয়ন, ভিক্ষাবৃত্তির বিমোচন, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ রোধ, আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ, শ্রমিকস্বার্থ রক্ষা, প্রান্তিক মানুষের সুবিধা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সংকট নিরসন, ফরমালিনমুক্ত বাজার ব্যবস্থাপনা, আধুনিক কসাইখানা স্থাপন, আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, শিশুবান্ধব নগর, ধর্মীয় সুবিধা, তরুণ যুব ও নারী সমাজ, কৃষিখাত, প্রকৌশল মেটারিয়াল টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা, টেকসই উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
গতকাল রেজাউল করিমের দেয়া নির্বাচনী ইশতেহারে ৩৭টি অঙ্গীকারের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন, ১০০ দিনের অগ্রাধিকার, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়ক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-নর্দমা, খাল-নদী দখলদার উচ্ছেদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন রাজধানী হবে চট্টগ্রাম, হোল্ডিং ট্যাক্সকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।