তফসিলের পর ১০ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার

26

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১০ হাজার ৩২৯ জন নেতা-কর্মীকে। তিনি দাবি করেন, এ সময়ে গায়েবি ও মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৮৪৪ টি। ২ হাজার ৮৯৬ টি হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ হাজার ২৫২ নেতা-কর্মী আর মারা গেছেন ৯ জন। গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় বানোয়াট মামলা দায়ের হয়েছে ৩৮ টি, গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ১২৭ জন নেতা-কর্মীকে, হত্যা করা হয়েছে ১ জনকে। নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের প্রার্থী, বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান রিজভী।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, নির্বাচনে নদীসহ চর দখল করবে বলেই জাতীয়তাবাদী শক্তির নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা বর্তমান শাসকগোষ্ঠী শুরু করেছে অনেক দিন আগেই। সেজন্য বানোয়াট মামলা সাজিয়ে নির্বাচনের প্রায় বছর খানেক আগেই সাজা দিয়ে দেশনেত্রীকে বন্দি করা হয়েছে। রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আবারও বলেছেন- পরাজয় বুঝতে পেরে নাশকতার পরিকল্পনায় বিএনপি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই- বিএনপি মহাসচিবের গাড়ি বহরে হামলা করেছে কে? গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে কে? ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রোমানা মাহমুদকে গুলি করেছে কে? হাবিবুর রহমান হাবিবকে হত্যা করতে তার শরীরে ছুরি ঢুকিয়েছে কে? মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস, ড. মঈন খান, মওদুদ আহমদ, মেজর হাফিজ ও হাসিনা আহমেদের মিছিলে হামলা করেছে কে? শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর ওপর হামলা চালিয়েছে কে? খবর বাংলানিউজের
জেলায় জেলায় বেপরোয়া গ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িছাড়া করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি বলছেন-বিএনপি নাশকতা করছে। নাশকতাকারীদের ট্রেনিং সেন্টার তো আওয়ামী লীগেই বিদ্যমান। সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য আওয়ামী লীগ ও তার সরকার। তারপরও আপনাদের সাধু বলতে হবে?