ঘুষের টাকাসহ দুদকের হাতে ধরা

41

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ঘুষের টাকাসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউইও) মো. আজিমেল কদরকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে দাপ্তরিক কাজ করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন জানান, ফাঁদ মামলায় আমার নেতৃত্বে দুপুরে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে এক সহকারী শিক্ষকের দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ১০ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এই টাকা নেওয়া হয়েছিল উপজেলার বেড়াজালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলিমা আকতারের কাছ থেকে।
তিনি জানান, শিক্ষিকা তাসলিমা আকতার তাঁর বদলির জন্য দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা কার্যালয়ে ঘুরছিলেন। কিন্তু টাকা নিয়েও বিভিন্ন অজুহাতে তাকে বদলি করা হচ্ছিল না। শেষে শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি করা ৩০ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে আগেই দিতে বাধ্য হন তাসলিমা। সাথে দুদকে একটি গোপন অভিযোগ দেন তিনি। আমাদের পরামর্শে তিনি বাকী ১০ হাজার টাকা দেয়ার ঘটনাটিকে ফাঁদ হিসেবে নিয়ে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মতো আমাদের দলটি ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ ওই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করি। এসময় অনেকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দিয়েছেন।
পরে এ ঘটনায় দুদকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ-সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ওই কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আকতার বলেন, ‘ঘটনায় দুদকের উপ-সহাকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে একই কার্যালয়ের শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানও ঘুষের টাকাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল।