ইসির পদক্ষেপে তাবিথের ‘ইতিবাচক মনোভাব’

15

নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে ‘ইতিবাচক মনোভাব’ পোষণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। গতকাল বৃহস্পতিবার রায়েরবাজার খেলার মাঠে বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্পে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বলেছে, আমাদের সব অভিযোগ তারা আমলে নেবে, নিষ্পত্তি করবে। এটা শুনে আমি ইতিবাচক মনোভাব রাখতে পারছি’।
গত মঙ্গলবার গাবতলীতে নির্বাচনী প্রচারণায় ‘হামলার’ অভিযোগ আনার পর নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ দেখতে ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছিলেন তাবিথ। সেই ৪৮ ঘণ্টা সময় শেষ হবে আজ শুক্রবার।
ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ জানান, ওই সময়সীমা অবধি তিনি নির্বাচন কমিশনকে সর্বত সহযোগিতা করবেন। নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য আমরা ৪৮ ঘণ্টা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করব। আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচন কমিশন আমাদের অভিযোগ আমলে নেবে, অভিযোগ নিষ্পত্তি করবে। আমরা দেখতে চাই, তাদের কথা ও আগামিদিনের কাজে মিল আছে।
তাবিথ আউয়াল জানান, তিনি উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডে ৩২৫ কিলোমিটারের বেশি পায়ে হেঁটে বিএনপির পক্ষে ‘ব্যাপক গণজোয়ার’ তৈরি করেছেন। প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের হামলা, হুমকি-ধামকিতে সেই ‘গণজোয়ার’ আরও দৃশ্যমান হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। এই গণজোয়ার দৃশ্যমান ঘরে ঘরে সাড়া দেখে না, দৃশ্যমান হয়েছে আমাদের প্রতিপক্ষের কারণে। তারা আমাদের উপর প্রতিনিয়ত পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছু কিছু সময় ওরা পারছেও। খবর বিডিনিউজের
এদিন তাবিথের প্রচারণার শুরুতে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমদ। তিনি তাবিথের পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, ‘দেশের বর্তমান অবস্থা তেমন সুখকর নয়। আমরা কথা বলার স্বাধীনতা হারিয়েছি। দেশে আইনের শাসন হারিয়েছি। শিশু ও নারী নিরযাতনের সীমা অতিক্রম করেছে। আগামিতে সুদিন আসবে, সে আশায় আমরা এ অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, আইনের শাসন, জনগণের কথা বলার ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা ফেরত পেতে চাই। আমরা তাবিথ আউয়ালের বিজয়কে দেখতে চাই, গণতন্ত্রের যে দুর্দশা.. সেই দুর্দশা থেকে অব্যাহতির চিহ্ন হিসেবে’। নির্বাচনে তাবিথের বিজয়ের পথে অনেক ষড়যন্ত্র হতে পারে বলেও ভোটারদের সতর্ক করে দেন তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, নিপুন রায় চৌধুরী গণসংযোগে অংশ নেন।