রাউজানে গাছে গাছে আমের মুকুল

146

রাউজানে গাছে গাছে আমের মুকুল সুবাস ছড়াচ্ছে সর্বত্র। এবার শীতের তীব্রতা কম থাকায় আমগাছে মুকুল এসেছে অনেকটা আগেই। তবে কৃষিবিদরা বলছেন, শীত বিদায় নেওয়ার আগেই আমের মুকুল আসা ভালো কিছু নয়। ঘন কুয়াশা হলেই আগেভাগে আসা মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যা ফলনে প্রভাব ফেলবে। তবে এখন থেকেই বিশেষ যতœ নিলে ফলন ভাল হবে। তবে কয়েকদিন আগে শীলা বৃষ্টিতে মুহুলে কিছুটা আঘাত এনেছে বলে কৃষিবিদরা জানান। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুরপাড়, রাস্তাঘাট ও পরিত্যক্ত জায়গায় এসব আমগাছ লাগানো হয়। উপজেলার হালদা, কর্ণফুলী পাড়, কদলপুর, পূর্ব গুজরা, হলদিয়া, গহিরা, নোয়াজিষপুর, পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর গ্রীণ ফেস্টিবলে সড়কের রোপিত আ¤্রপালিতে প্রচুর মুকুল এসেছে। এতে চলতি মৌসুমে এসব গাছ থেকে ফলন পাওয়া যাবে। এসব গাছে আমের মুকুলে ভরে গেছে। রীতিমত পরিচর্যায় চাষিদের সহায়তা করছে উপজেলা কৃষি অফিস। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তি ও সমবায়ের উদ্যোগে করা বাগানে আ¤্রপালি, হাড়িভাঙ্গা ও দেশিজাতের আমগাছ লাগানো হয়েছে। বাগানের এসব আম রূপ্তানিযোগ্য না হলেও এলাকার চাহিদা মিটাতে সক্ষম হচ্ছে। আমচাষি হলদিয়ার মাহাবুবুল আলম ও এসএম বাবর বলেন, আমের মুকুলে ছত্রাকজনিত নানা রোগ আক্রমন করতে পারে। এসব রোগের একটি হচ্ছে শুকনা ক্ষত রোগ। তাই এ সময় ছত্রাকনাশক স্প্রে ব্যবহার করা হলে আমের ফলন ভালো পাওয়া যাবে। উপজেলা সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, আমের ফলন বাড়াতে যত্ন নিতে হবে বছরভর। অন্যান্য ফলের মতো আম বাগানেও নানা সমস্যা দেখা যায়। তবে সঠিক সময়ে বাগান পরিচর্যা করলে ফলন বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, এবার শীত কম, তাপমাত্রা বেশি। এজন্য আগাম আমের মুকুল এসেছে। ঘন কুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে এসব মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভাল থাকলে ফলন বাড়বে।