স্ত্রীসহ ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ ফেব্রুয়ারি

25

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। উচ্চ আদালতে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে উল্লেখ করে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পেছানোর আরজি জানান প্রদীপ। আদালত আরজি মঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় পিছিয়ে দিয়েছেন। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে এ মামলা চলছে। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথমদিন ছিল। আদালত একমাস সময় মঞ্জুর করে আগামী ১৭ ফেব্রæয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এ বিষয়ে দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদুল হক জানান, সাবেক ওসি প্রদীপের পক্ষে আদালতে দাঁড়িয়ে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আসামি উচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন। হাইকোর্টে এটা শুনানির অপেক্ষমাণ আছে। এজন্য সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন আসামি। আদালত হাইকোর্টের আদেশ আনার জন্য ১৭ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে হাইকোর্টের আদেশ আনতে না পারলে ওইদিন থেকেই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে যাবে।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের মামলায় আসামি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা ‘ওসি প্রদীপ’ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে দুদক অভিযোগ করে। আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য বিবরণীতে গোপন করার অভিযোগও আনা হয়।
তদন্তের পর গত ২৬ জুলাই দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে প্রদীপের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করে সেই সম্পদ স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ উল্লেখ করা হয়। এছাড়া উভয়ের বিরুদ্ধে ৪৯ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন ও মিথ্যা তথ্য সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ রয়েছে।