সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠে ধর্ম সম্মেলন

125

আচার্যপাদ পরমহংস শ্রী স্বরূপানন্দগিরি মহারাজের ১৪৮তম, যোগাচার্য পরমহংস শ্রী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১১তম শুভ আবির্ভাব ও অখন্ড গীতাপাঠের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালাসহ বিশ^শান্তি শ্রী গীতাযজ্ঞ ও সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলন গত শনিবার থেকে সীতাকুন্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনে শুরু হয়েছে। বেলুন ও কপোত উড়িয়ে সপ্তাহ ব্যাপী অনুষ্ঠান এবং শ্রী বিশ্বনাথ মন্দির সড়কের শুভ উদ্বোধন করেন সীতাকুন্ডের সাংসদ দিদারুল আলম। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন পরমহংস পরমানন্দ সরস্বতী মহারাজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জাতীয় পতাকা ও শঙ্কর মঠ এবং মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ তপনানন্দ গিরি মহারাজ ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করেন। মঠ প্রাঙ্গণে ধর্ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কেশব কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ধর্ম সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দী। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমৎ হরিকৃপানন্দ মহারাজ, শ্রীমৎ জগদীশ্বরানন্দ মহারাজ, শ্রীমৎ সচ্চিদানন্দ মহারাজ, রনধীর ঘোষ রায়, মাস্টার অঞ্জন কুমার দাশ, গোপাল পাল, মাস্টার অজিত কুমার শীল, বাসুদেব দাশ, রনজিৎ কুমার মল্লিকসহ। অনুষ্টানের দ্বিতীয় দিন গত ১৭ নভেম্বর শঙ্কর মঠে মানব সমাজে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি বিধানে স্বামী স্বরূপানন্দ গিরি মহারাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভক্তবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল-মঙ্গলারতি, গুরু বন্দনা, হরি ওঁ কীর্ত্তন, শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠ, অখন্ড প্রদীপ প্রজ¦লন, বিশ্বশান্তি শ্রী গীতাযজ্ঞ, দুপুর-রাতে প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী ২২ নভেম্বর রাতে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালা সম্পন্ন হবে। এছাড়া ২৭ নভেম্বর শঙ্কর মঠ ও মিশনের পরম পুজ্যপাদ অধ্যক্ষ শ্রী স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজের ৬৪তম শুভ আবির্ভাব উৎসব উদযাপন উপলক্ষে মিশন প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য ধর্মীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি