সীতাকুন্ডে বালি উত্তোলন বন্ধ করলো প্রশাসন

7

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডের বাড়বকুন্ড উপকূল এলাকায় সাগরের বালি অবৈধভাবে পাইপ দিয়ে উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ‚মি ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম।
তিনি জানান, ক্যাপিটাল নামে একটি এলপি গ্যাস পেট্রোলিয়াম লিমিটেড কোম্পানি রাতের আঁধারে সাগর থেকে বালি উত্তোলন করে কৃষি জমি ভরাট করছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই বালি উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে অন্যদিকে শত শত একর চাষ যোগ্য নাল জমি ধ্বংস হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে রাতের আঁধারে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় কৃষি জমি ভরাট করেছিল ওই প্রতিষ্ঠানটি। এই ঘটনায় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তাদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়। এরপরও প্রতিষ্ঠানটি বালি উত্তোলন বন্ধ না করায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে বালি উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় কিছু পাইপ কেটে দেয়া হয়েছে। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির লোকজন পালিয়ে যায়। এরপরও বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
সীতাকুন্ড সদর তহসিল অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফয়জুল করিমসহ সীতাকুন্ড থানার পুলিশ সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার বাড়বকুন্ড সাগর উপকূল এলাকায় ২০১৯ সালে ক্যাপিটাল এলপি গ্যাস স্থাপনের নামে বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে জমি ক্রয় শুরু করেন। এরপর সরকারি উচ্চ মহলের নাম বিক্রি করে তারা দিনের পর দিন উপকূলীয় বন কেটে বন বিভাগের জায়গা দখল করে। পরে স্কেভেটর দিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির পাশে বিশাল আকৃতির একটি খালে মাটি ফেলে দেয়াল তুলে পাহাড় থেকে সাগরে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা ও জরিমানা করেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। তারপরও উচ্চ মহলের দোহাই দিয়ে সরকারি সংস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে রাতের আঁধারে বালি উত্তোলন অব্যাহত রাখে প্রতিষ্ঠানটি।