বলীখেলার মেলায় উপচেপড়া ভিড় শেষ মুহূর্তে

5

শতবর্ষী জব্বারের বলীখেলার তিন দিনের বৈশাখী মেলা শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার রাতে। তাই শেষমুহূর্তে কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। প্রচন্ড গরমের কারণে গতকাল বিকেল থেকেই আখেরি কেনাকাটা শুরু হয়েছে। চলে ভোররাত পর্যন্ত। খবর বাংলানিউজের
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রথম দিকের তুলনায় পণ্যসামগ্রীর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। যে ফুল ঝাড়ুর জোড়া আড়াইশ টাকা ছিল তা এখন দেড়শ টাকায় ঠেকেছে। মাত্র ১০০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে ফুলঝাড়ু। একইভাবে হাতপাখা, মাটির তৈজসপত্র, ফুলদানি, শোপিস, দেবদেবীর প্রতিকৃতি, খেলনা, গহনা, শীতলপাটি, মুড়ি-মুড়কি, মিষ্টান্ন সব কিছুই কম লাভে বিক্রি করে দিচ্ছেন বেপারী, দোকানি ও উদ্যোক্তারা।
ঢাকা থেকে মৃৎশিল্প সামগ্রী নিয়ে আসা শরিফুল জানান, এগুলো ভঙ্গুর পণ্য। পরিবহনের সময় অনেক জিনিস ভেঙে যায়। তাই কেনা দাম পেলেও বিক্রি করে দিচ্ছি। নয়তো উল্টো গাড়িভাড়া গুণতে হবে। গরমে হাঁসফাঁস করলেও বৃষ্টিপাত না হওয়ার খুশি বিক্রেতারা। একই সঙ্গে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেচাকেনাও ভালো হয়েছে। কয়েকজন বিক্রেতা জানান, মেলার সময় কয়েকদিন বাড়ালে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা দোকানিরা উপকৃত হবে।
রাত সাড়ে নয়টায় মেলায় আসা গৃহিণী শারমিন জাহান জানান, এবার গরমের কারণে মেলার চরিত্রই পাল্টে গেছে। আগে গৃহিণীরা রাতে কেনাকাটা করতে আসতেন। এখন রাত তিনটায়ও বখাটেদের উৎপাত।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, মেলার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি। শুক্রবার রাতেই আনুষ্ঠানিক মেলা শেষ হবে। এরপর অলিগলিতে, সুবিধাজনক স্থানে যানবাহন চলাচল ও পথচারীদের দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে দূরদূরান্ত থেকে আসা বেপারীরা নিজ দায়িত্বে পণ্যসামগ্রী বিক্রি করতে পারবেন।