শেষ মুহূর্তের রং তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

46

 

শিশিরে শিশিরে শারদে পাতে, ভোরের আলো। আশ্বিন বিদায়ের পথে, শিউলি ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা চারিদিক। প্রতিবছর আশ্বিন এলে শুরু হয়ে যায়, সনাতনি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গা পূজার প্রস্তুতি, তবে এই বছর কালের পরিক্রমায় পূজা অনুষ্ঠিত হবে কার্তিক মাসে, দিন পঞ্জিকা অনুযায়ী মল মাসের কারনে এই বছর পূজা একটু দেরীতে শুরু হচ্ছে। আগামী ২২ অক্টোবর মহা যষ্ঠীর মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান করবেন ভক্তরা।
২৬ অক্টোবর বিজয়াা দশমীতে প্রতিমা নিরজনের মাধ্যমে ৫ দিনব্যাপী এই পূজা শেষ হবে।তবে মহামারি করোনার প্রকোপে কিছুটা হলেও জনমনে আতন্ক নিয়ে পূজার প্িরস্তুত শুরু করেছেন সনাদন সম্প্রদায়ের লোকজন। কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য জানান, এই বছর কাপ্তাইয়ে ৭টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ডপগুলো হলো, কাপ্তাই লগগেইট জয়কালী মন্দির, রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালি মন্দির, কেপিএম কয়লার ডিপু প্রকল্প হরি মন্দির, চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা আদি নারায়ণ বৈদান্তিক বিদ্যালয়র ও সিদ্বিশ্বরি কালি মন্দির, শিলছড়ি দুর্গা মন্দির এবং কাপ্তাই প্রজেক্ট ব্রিকফিল্ড দুর্গা মন্দির।কাপ্তাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু জানান, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন কমিটির ২৬টি নির্দেশনা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্যবিধী ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এই বছর পূজা উদযাপন করা হবে।
গত ১৪ অক্টোবর কাপ্তাইয়ের শিলছড়ি দুর্গা মন্ডপে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, শেষ মূহুর্তের তুলির আঁছড়ে ব্যন্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পী মাদল আচার্য্য জানান। তিনি জানান গত কয়েকমাস ধরে তিনি এই প্রতিমা তৈরী করছেন।মন্দিরে সভাপতি সুনীল দাশ, সম্পাদক লিটন দাশ এবং অর্থ সম্পাদক সুভাষ দাশ জানান, আমরা অপেক্ষা করছি কখন মায়ের আগমন ঘটবে। চন্দ্রঘোনা আদিনারায়ন বৈদান্তিক বিদ্যালয় পূজা মন্ডপের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিজিৎ দাশ কিষাণ জানান, বাঁশের মাচাং ঘরের আদলে তৈরী করা হয়েছে তাদের পূজা মন্ডপকে। ঐতিহ্যবাহি শতবর্ষী রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালি বাড়ির সভাপতি মিলন কান্তি দে, সম্পাদক টিটু দেব জানান, ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এই বছর মার আগমন ঘটবে দোলায় এবং গমন ঘটবে গজে, ফলে শস্যপূর্ণ হবে বসুন্ধরা।