শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন চরচাকতাই গোলচত্বর দ্রুত যানজট মুক্তরা জরুরি

86

দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও কক্সবাজারের বাস-টার্মিনাল হলো বহদ্দারহাট। আনোয়ারা, পটিয়া, বাঁশখালী, লোহাগাড়া, চকরিয়া, কক্সবাজার, বান্দরবান গামী গাড়িসমূহ বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল হতে ছাড়া এবং চট্টগ্রাম মহানগরীকে যানজটমুক্ত করার জন্য এ বাস টার্মিনাল স্থাপন করা হয়। অত্যান্ত দু:খের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে-বান্দরবান, কক্সবাজার ছাড়া আনোয়ারা, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, পটিয়ার লোকাল-বাস গুলো টার্মিনালে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। পটিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা, মোহসেন আউলিয়া, বরমার লোকাল বাসগুলো যাত্রী সাধারণের নিকট হতে গলাকাটা ভাড়া আদায় করার জন্য শাহ আমানত সেতুর উত্তর-পাড়ে চরচাক্তাই গোল চত্বরটিকে বাস স্টেশন বানিয়ে নিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য জনগণ বা যাত্রী সাধারণের সেবা নয়। এ সকল লোকাল বাস-মিনিবাস বহদ্দারহাট টার্মিনাল হতে ছাড়লে তাদের লোকাল ভাড়ায় যাত্রী তুলতে হয়। এমনিতে নগরী এবং শহরতলীর কোন লোকাল-গাড়ি সরকার নির্ধারিত ভাড়ার নিয়ম মানছে না। আনোয়ারা, বরমা, বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামগমী বাস-মিনিবাস, সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অধিক ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের নিকট থেকে। কোনটা স্পেশাল, কোনটা সুপার নাম ব্যবহার করে সরকারি নিয়মের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। লোকাল বাসগুলো বৃহঃস্পতিবার, শুক্রবারে শহর থেকে শহরতলীগামী যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করে। একইভাবে প্রতি শনিবার গ্রাম থেকে শহরগামী যাত্রীদের কাছ থেকেও জিম্মির কায়দায় দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া আদায় করে থাকে। দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী লোকাল বাসগুলো টার্মিনাল হতে ছাড়ে না, বৃহস্পতি ও শুক্রবার এলে। টার্মিনালে এসব বাস না গিয়ে নতুন ব্রীজ গোলচত্বরে ভীড় জমায়। আর গাড়ি সামনে কিছু বাস রিজার্ভ সাইনবোর্ড দিয়ে আবার কিছু কিছু ডাইরেক ভাড়া এত-সেত বলে যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে । ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত হলে মুহূর্তে নিরাপদ স্থানে চলে যায় সেসব গাড়ি। ভ্রাম্যমান আদালত চলে গেলে আবার ‘যথা পূর্বং তথা পরং’ অবস্থায় ফিরে আসে। শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকা যানজট আর লোকে -লোকারণ্য হয়ে উঠে। সেতু হতে উত্তরমুখী নগরীতে প্রবেশকারী গাড়ি ব্রেক ফিল হলেই মরছে মানুষ। অবৈধ বাস স্টেশনে পরিণত হওয়ায় এ গোলচত্বর একটি মৃত্যুকূপে পরিণত। পুলিশ সদস্য ও ট্রাফিক এখানে নিয়মিত চাঁদাবাজী করছে।
পুলিশ ট্রাফিককে বিশ টাকা, পঞ্চাশ টাকা, একশত টাকা দিয়ে গাড়ির ড্রাইভার হেলফাররা চক্রবৃদ্ধি হারে যাত্রীদের কাছ থেকে তা আদায়ের সুযোগ পায়। রিজার্ভ কিংবা ডাইরেক অমুক স্থানের ভাড়া এত-সেত বলে নতুন ব্রীজ থেকে যে সকল গাড়ি ছাড়ছে সেগুলো বন্ধ করে টার্মিনালে পাঠিয়ে দিলে ব্রীজ সংলগ্ন গোল চত্বর যানজট মুক্ত হবেই। জেলা প্রশাসক মহোদয় সতর্ক দৃষ্টি দিলেই গোল চত্বরের স্টেশন ও যানজট বন্ধ করা সম্ভব। যাত্রী সাধারণের দাবী সব গাড়ি বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে ছাড়া হোক। কোন অকেশনের গাড়ি ছাড়া কোন লোকাল বাস-মিনিবাস রিজার্ভ সাইনবোর্ড দিয়ে চালালে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি ও জরিমানার ব্যবস্থা করলে, বাস শ্রমিক মালিকদের অত্যাচার থেকে যাত্রী সাধারণ রক্ষা পাবে এমন ধারণা যাত্রী সাধারণের।