রামগড়ে ৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টুডেন্টস কাউন্সিল সম্পন্ন

8

রামগড় প্রতিনিধি

শিশু-কিশোরদের মাঝে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি শিক্ষা ও চর্চার লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই চলে ভোট গ্রহণ। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তত্ত¡াবধানে প্রায় ৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ২ জুন সকাল ৯ থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। নির্বাচন অবাদ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা, পুলিং এজেন্ট নিয়োগ করা হয়। রামগড় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। টাঙ্গানো হয়েছে প্রার্থীদের পোস্টার। বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সরর্দার জানান, মোট ৭টি পদের জন্য প্রার্থীরা একে অপরের জন্য প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে। নির্বাচনে পানিসম্পদ মন্ত্রী, আপ্যায়ন মন্ত্রী, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মন্ত্রী, পাঠ্যপুস্তকক মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা হয়। এতে ২৮জন মনোনয়ন দাখিল করে। বাতিল হয় ১০ জন এবং বৈধ্য ঘোষণা করে ১৮ জন। এ ১৮ জনের মধ্য ৭ জন প্রত্যেক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। ভোটার সংখ্যা ছিলো ২০৩ জন যারা নির্বাচিত হয়েছেন- ৩য় শ্রেণির-উম্যেসেং মারমা (সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত), সুদেষ্ণু শীল, নেহা বড়ুয়া ৪র্থ শ্রেণির- নাহিদ মামুন, মৃত্তিকা বৈষ্ণব ত্রিপুরা, ৫ম শ্রেণি- আইনুন ইমরোজ আনিকা, উসাইংচো চৌধুরী।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির ভোটার সামিহা তারান্নুম রোদেলাও অর্ক বলে, বিদ্যালয়ের সু- শিক্ষার পাশা-পাশি শৃঙ্খলা অব্যাহত রাখতে আমরা শিক্ষার্থীরা পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছি। রামগড় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এ বছর নির্বাচনে শিক্ষার্থীর পাশা-পাশি অভিভাবকদের মধ্যে অনেক বেশি উৎসাহ উদ্দীপনার লক্ষ্য করা গেছে। রামগড় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইলিয়াছ হোসেন জানান, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধাশীলসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন করা হয়। ইত্যাদি সব প্রক্রিয়াই অনুসরণ করা হয়।