রাজশাহীতে গান পাউডার-গুলিসহ অস্ত্রের বড় চালান জব্দ

17

পূর্বদেশ অনলাইন
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা আঁটছে সন্ত্রাসীরা। এজন্য তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক। মজুদ করা হচ্ছে বিদেশি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। এমনই একটি চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৫)। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সারারাত অভিযান পরিচালনা করে মহানগরীর কাটাখালী থানার কাপাসিয়া পাহাড়পুর এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করে র‍্যাব-৫। এ সময় তাদের কাছ থেকে, গান পাউডার, স্প্লিন্টারসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও গুলিসহ বিপুল পরিমাণ বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করে সদস্যরা। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নিজ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক জানান, সাম্প্রতিককালে রাজশাহী তথা উত্তরবঙ্গে অবৈধ অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান তাদের হাতে ধরা পড়লো। আটক তিনজন এলাকার চিহ্নিত শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, রাজশাহীতে একটি বড় অস্ত্রের চালান সীমান্তবর্তী চর হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় এসেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তারা গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ান। একপর্যায়ে র‍্যাব সদস্যরা কাটাখালীর কাপাশিয়ার পাহাড়পুর এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দলের সক্রিয় সদস্য আতিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় আতিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে আতিক তার মুরগির খামারের পাশের একটি ছোট ঘর থেকে অবৈধ অস্ত্রগুলো বের করে দেন। এছাড়া সেখান থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জামগুলোও জব্দ করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে অন্য দুজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়- এই তিনজন সীমান্ত এলাকা থেকে তানজিম (২৭) ও আব্দুর রহিম (২৮) নামের দুজনের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্যগুলো সংগ্রহ করেছিলেন। তারা এগুলো স্বাধীনতাবিরোধী চক্রকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তাদের ঊর্ধ্বতনদের কাছে পৌঁছাতেন। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে রাজশাহী এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট এবং অস্থিতিশীল করা। র‍্যাব-৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, মানুষের যেন সন্দেহ না হয় সেজন্য মুরগির খামারের পাশে অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে তাদের আটকের মাধ্যমে আবারও জানান দেওয়া হলো যে, র‍্যাব অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্যাদির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে মহানগরীর কাটাখালী থানায় সোপর্দ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হবে বলেও জানান র‍্যাব-৫ অধিনায়ক।