যুবলীগ নেতা বিতান বড়ুয়াকে সমাহিত

54

রাউজানে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত যুবলীগ নেতা ও হালদার ডিম সংগ্রহকারী বিতান বড়ুয়ার মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে গত সোমবার দুপুরে রাউজানের অংকুরিঘোনা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসলে সেখানে এক শোকের আবহ সৃষ্টি হয়। এতে নিহত বিতানকে শেষ বিদায় জানাতে এলাকায় মানুষের জনস্রোত নামে। যার কারনে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাশাপাশি হিমসিম খেতে হয় স্থানীয় সেচ্ছাসেকদের। এ সময় তাকে একনজর দেখতে বড়ুয়া সমাজের লোকজনের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী পুরুষের উপস্থিতিও ছিল বেশ লক্ষ্যনীয়। এতে সকলের চোখে মুখে ছিল এ হত্যার সঠিক বিচারের। পরে স্থানীয় বিহার মাঠে শতশত জনতার উপস্থিতিতে এ যুবলীগ নেতা ও হালাদার পোনা ব্যবসায়ির শেষ কৃত্যানুষ্ঠান শেষে সমাহিত করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল সোমবার নিহত বিতান বড়ুয়ার স্ত্রী জয়শ্রী বড়ুয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় রাহুল বড়ুয়া ও তুফান বড়ুয়ার নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামি করা হয়। নিহত বিতান বড়ুয়ার স্ত্রী জয়শ্রী বড়ুয়া জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসী তুফান বড়ুয়া আমার স্বামীকে ঝাঁপটিয়ে ধরে রাখে, তারপর রাহুল বড়ুয়া অস্ত্র টেকিয়ে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আলমগীর আলী জানান, বিতান খুব ভাল ছেলে ছিল। সে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিল। যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতার করার আহবান জানান তিনি। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কেপায়েত উল্লাহ জানান, থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
খুনিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় অংশ নেয়া কোন সন্ত্রাসী পার পাবেনা। অপরদিকে বিকাল ৩টার ময়না তদন্ত শেষে নিহত বিতান বড়ুয়ার লাশ নিজ বাড়ী রাউজান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের অংকুরিঘোনা আনা হলে এলাকার শোকের ছায়া নেমে আসে। শোকে মুহ্যমান বিতানের পরিবার জানান, খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার প‚র্বক কঠোর শাস্তি দিতে হবে। বিতান বড়ুয়া হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি টিম। এসময় পুলিশ সুপার পরিবার ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলেন।