ময়লা-আবর্জনা ফেলায় হালদা নদীতে বাড়ছে দূষণ

223

হালদা নদীতে নাজিরহাটবাজারসহ উত্তর চট্টলার বিভিন্ন হাট-বাজার, কলকারখানার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও নদী পানি। ছড়িয়ে পড়ছে রোগ-ব্যাধি। জানা গেছে, হালদা নদী পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি থেকে শুরু হয়ে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া হয়ে মিলেছে কর্ণফুলীতে। নদীর তীরে গড়ে উঠা উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাট বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এসব বর্জ্য গড়িয়ে নদীর পানিতে মিশে যাচ্ছে। ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও নদীর পানি। এদিকে উত্তর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী নাজিরহাট বাজারের ময়লা-আর্বজনা ফেলা হচ্ছে নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ এর পাশে হালাদার তীরে। সেখানে দীর্ঘ দিন ধরে আবর্জনা ফেলার কারনে ময়লা স্তূপ পরিনিত হয়েছে। সেখানে নাম না প্রকাশে এক দোকানদার বলেন, বাজারের বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় নাজিরহাট পুরাতন ব্রিজ’র নিকট হালদা নদীর তীরে। নাজিরহাট বাজারের প্রবীন ব্যবসায়ী মো. দিদারুল আলম ও ব্যবসায়ী এম সিরাজদৌল্লা চৌধুরী দুলাল বলেন, আমরা চাই না হালদা নদীর পানি দূষণ হোক। পুরাতন ব্রীজস্থ হালদা তীরে যে বা যারা বর্জ্য ফেলেছেন পরিবেশ এর কথা চিন্তা করে নদীর তীর বর্জ্য না ফেলা উচিত। নাজিরহাট আদর্শ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ নাছির উদ্দিন বলেন, নাজিরহাট বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলার দায়িত্ব এক সময় সমিতির ছিল। এখন নাজিরহাট পৌরসভার। নাজিরহাট পৌরসভা সুয়াবিল এলাকায় বর্জ্য ফেলানো হয় বলে শুনেছি। বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ী গোপনে রাতে হালদা তীরে বর্জ্য ফেলা হয় বলে তিনি জেনেছেন এবং এ বিষয়ে সকল ব্যবসায়ীকে সর্তক করেছেন বলে তিনি জানান। নাজিরহাট পৌরসভার ৮নং ওর্য়াড কমিশনার মো. আলী বলেন, পৌরসভার মেয়র’র সাথে আলাপ করে ব্যাসায়ীরা যাতে সেখানে বর্জ্য না ফেলতে পারে সেজন্য ওই স্থানে সর্তক বার্তা টাঙ্গিয়ে দেয়া হবে। নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজদৌল্লা বলেন, পৌরসভার বর্জ্য সুয়াবিলে ফেলানো হয়। নদীর পানি দূষণ ও পরিবেশ রক্ষার্থে নাজিরহাট ব্যবসায়ীদের হালদায় বর্জ্য না ফেলার অনুরোধ জানান তিনি। এদিকে হালদা নদীর বিভিন্ন তীর পয়েন্টে ময়লা আর্বজনা ফেলে পানি দূষিত করায় হতাশা প্রকাশ করেছেন হালদার বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারে হালদা বিশেষজ্ঞরা সরকারের প্রতি দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।