মেয়র মকছুদের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে গেলেন ‘ব্যক্তিগত’ গাড়িতে

29

পূর্বদেশ অনলাইন
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে হত্যাচেষ্টার মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা। তবে সাধারণ আসামিদের পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হলেও ব্যতিক্রম ঘটেছে এ মেয়রের ক্ষেত্রে। আদালতের আদেশের পর দুপুর আড়াইটার দিকে মকছুদ মিয়াকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশি পাহারায় একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে নেওয়া হয় কক্সবাজার কারাগারে। এ সময় কয়েকজন সংবাদকর্মী ছবি তুলতে চাইলে তাদের বাধা দেন মেয়রের অনুসারীরা। এ বিষয়ে জেলা কোর্ট পুলিশের ওসি চন্দ কুমার দে বলেন, ‘ওই সময় আদালতে জ্যাম ছিল। তার অনুসারীরাও আদালতপাড়ায় ভিড় করছিলেন। ভিড় ও জটলা এড়াতে তাকে খুব দ্রুত নেওয়ার জন্য অন্য গাড়িতে নেওয়া হয়েছে। কেননা, পুলিশি ভ্যানে করে নিতে আরও সময় লাগতো।’
অন্য গাড়িতে নেওয়ার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা ছিল কি না জানতে চাইলে আদালতের নির্দেশ ছিল না বলে জানান তিনি।
অভিযুক্ত মকছুদ মিয়া মহেশখালী পৌরসভার মেয়র এবং মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। মামলার বাদী আমজাদ হোসেন মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মহেশখালী উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ছিলেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, হত্যাচেষ্টা ও চিংড়ি ঘেরে ডাকাতির অভিযোগে মেয়র মকছুদ মিয়াকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করেছেন মহেশখালীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন। ওই দুই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে ছয় সপ্তাহ পর কক্সবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন তিনি। এর মধ্যে চিংড়ি ঘের ডাকাতির মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে হত্যাচেষ্টার মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাদী পক্ষের অভিযোগ, গত ২৪ নভেম্বর রাতে মহেশখালী পৌরসভার গোরকঘাটা বাজার থেকে মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বাড়ি ফেরার পথে লিডারশিপ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছালে মেয়র মকছুদ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত ২৬ নভেম্বর আহত আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মেয়রকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
গত ৮ ডিসেম্বর মেয়রকে গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধারা। এর আগে, মেয়র মকছুদ মিয়া ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছিল।