মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিজ্ঞ সিদ্ধান্ত আশাকরি

27

করোনা ভাইরাসের কারণে বিগত ১৭ মার্চ হতে দেশের সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এইচ এস সি পরীক্ষা ২০২০ শুরুর মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সকল পরীক্ষা ও বন্ধ। করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসাতে এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়োর কথা মন্ত্রণালয় ভাবছে। আগামী ৩১ আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি বলবৎ আছে। সম্ভবত স্বাভাবিক ক্লাসের পরিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে না আসলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরানোর চিন্তা ভাবনা সরকারের উচ্চ মহলে চলছে।
স্থগিত হওয়া এইচ এস সি পরীক্ষা ২০২০ এর ব্যাপারে কোন নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার এক প্রতিবেদন হতে জানতে পারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে চার / পাঁচটি প্রস্তাব মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বরাবরে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০০৯ সাল হতে প্রাথমিক / এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষার মুখোমুখি করানো বিষয়ে শিক্ষা-চিন্তকরা কঠোর সমালোচনা করে আসছেন প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রাক-কাল থেকেই। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়া বিষয়ে অধিকাংশ এতদবিষয়ক চিন্তকদের অভিমত। এনসিটিবিও প্রাথমিকের সমাপনী পরীক্ষা তোলে দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পক্ষে। দীর্ঘ দিন করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের প্রেক্ষাপটে যেখানে এইচ এস সি পরীক্ষার ব্যাপারে কোন রকম সিদ্ধান্ত ঘোষণা এখনো সম্ভব হয়নি, এমতাবস্থা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার বিষয়ে যে সকল প্রস্তাব মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বরাবরে পেশ করছে তার আদৌ প্রয়োজন আছে কি না জানি না। পরীক্ষা স্ব-স্ব স্কুলে হোক কিংবা পরীক্ষা কেন্দ্রে হোক কোমলমতি শিশুদের করোনা ঝুঁকির বিষয়টি অস্বীকার করা যাবে না। একটি মাত্র বছর প্রাথমিকের পরীক্ষার্থীদের নিম্ন মাধ্যমিকে অটো প্রমোশন দেয়া হলে রাষ্ট্রের এমন কি ক্ষতি হয় তা আমাদের বুঝে আসে না। এখনো অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের শিক্ষার্থীর তথা জে এস সি-জে ডি সি পরীক্ষার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। এইচ এস সি পরীক্ষা ২০২০ অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত আসেনি, তার পরও প্রাথমিকের বিষয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে যে সকল প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তৎমধ্যে শিশুদের নিকট হতে পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়টি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর বিবেবচনায় প্রাধান্য পাবে এমন আশা সংশ্লিষ্টদের ।