মাতৃ মৃত্যুর হার ৭০ কিংবা তারও নিচে নামাতে হবে

62

‘আমাদের আগামি প্রজন্মের চাহিদা পূরণ করতে পারবো কিনা সেটা চিন্তা করাও পরিকল্পিত পরিবারের অংশ। দু’টি সন্তান জন্মের মধ্যবর্তী বিরতি সম্পর্কেও মহিলাদের সচেতন করতে হবে এবং উঠান বৈঠকে এ বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। প্রতিহাজারে মাতৃ মৃত্যুর হার ৭০ কিংবা তারও নিচে নামাতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা বৃদ্ধি করা করতে হবে। জরায়ু যার সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তও তার-স্লোগান যেন আমাদের সবার হয়’।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে কর্মরত উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর : প্রতিশ্রæতির দ্রæত বাস্তবায়ন’ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার নগরীর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় জমায়েত ও জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মূল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সার্কিট হাউজ থেকে একটি র‌্যালি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরে চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আবদুস সালাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তৈয়ব আলী। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, গীতা পাঠ ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. উ খ্যে উইন।
এফপিসিএস-কিউআইটি’র রিজিওনাল কনসালটেন্ট ডা. ছেহেলী নার্গিসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংস্থা মমতা’র প্রশাসক এমএম এরশাদ, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহসানুল হায়দার বাবুল, আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান, উন্নয়ন সংস্থা উজ্জীবন এর ব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ কাওসার এবং পাথফাইন্ডার এর সুখী জীবন প্রজেক্টের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ১০ ক্যাটাগরিতে ১০ জন করে মোট ২০ জন কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে সনদ ও ক্রেস্ট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি