মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

24

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর সাথে গোলাগুলিতে নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট দুপুরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে তাদের স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত সোমবার খাগড়াছড়ি দীঘিনালার বড়াদম এলাকায় সন্ত্রাসীদের সাথে সেনাবাহিনীর গোলাগুলির ঘটনায় দীঘিনালা থানায় অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। দিঘিনালা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক পিযুষ কান্তি দে বাদি হয়ে হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ে দায়ের করেন। মামলা নং-০৩ তাং -২৬-০৮-২০০১৯ ইং ধারা- ১৪৩/১৮৬/৩৫৩/৩০২/৩৪/ দন্ড আইন (হত্যা মামলা) অপরটি মামলা নং-০৪ তাং- ২৬-০৮-২০১৯ ইং ধারা-১৯৭৮ সনের অস্ত্র আইনের ১৯ এ/১৯ (এফ) (অস্ত্র মামলা)। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সংগঠক অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে নিহত ৩ জনই তাদের সংগঠনের সদস্য বলে জানান। গোলাগুলির ঘটনাটি রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র অ্যাখ্যা দিয়ে এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামান জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি একটি অস্ত্র মামলা ও একটি হত্যা দায়ের করেছে। দীঘিনালাসহ পুরো জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার সকালে দীঘিনালার বড়াদম এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল অভিযানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে ১৫ মিনিটের মতো গোলাগুলি হয়। পরে সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের ব্যবহৃত অত্যাধুনিক একটি এম-৪ সহ ৩টি অস্ত্র ও ১২ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।