বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করার দাবি

10

 

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের কার্যালয় সিজেকেএস ভবনের ৫ম তলায় ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফিং করেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম জেলা শাখার সেক্রেটারী জনাব এমএ ছফা চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল কবির, অধ্যাপক মোহাম্মদ ওসমান গণি, বাশিস সচিব কমল কান্তি ভৌমিক, বাশিস সহ-সভাপতি গোলাম রহমান, উত্তর জেলার সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা, দক্ষিণ জেলার সচিব এম.এ হান্নান, প্রচার সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আব্দুল মাবুদ, পাহাড়তলী থানার সভাপতি আলতাফ মাসুদ।
বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা প্রদান এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ও ননএমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণ, ৬৫ বৎসর পর্যন্ত চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধিকরণ, বেসরকারি কলেজ ও মাদ্রাসায় সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদ সৃষ্টি করার জন্য জোর দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তারা। নতুবা আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ঢাকায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ থেকে চাকার জাতীয়করণের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার কথা জানান নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক কর্মচারী নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলে শিক্ষক শিক্ষার মেরুদন্ড। সমগ্র বাংলাদেশে এ মেরুদন্ড মজবুত করার কাজটি নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ লক্ষাধিক নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক। যারা ৯০ভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। শিক্ষকতার মত মহান পেশায় নিজেদের নিয়োজিত রেখে আগামি দিনের দেশ ও জাতি গঠনের যোগ্য নাগরিক সৃষ্টিতে অবদান রাখা সত্বেও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সমাজ আজ নানাভাবে বৈষম্য ও অবহেলার শিকার। শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা, আর্থিক স্বচ্ছলতা, সামাজিক মর্যাদা নেই বলে মেধাবীরা এই পেশায় আসতে চান না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষকরা রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হয়ে চাকরি হারিয়ে পথে পথে ঘুরছেন। শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা নেই বলেই আজ শিক্ষার বেহাল অবস্থা। অন্যদিকে বর্তমান দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে স্বল্প বেতন নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ দিশেহারা। শিক্ষক ও শিক্ষাকে বাঁচাতে হলে এখন বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। এই দাবি পূরণে সরকারের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই। ছাত্র বেতন, সেশন চার্জ, প্রতিষ্ঠানের সম্পদ থেকে গৃহীত অর্থ, রিজার্ভ ফান্ড ও সাধারণ তহবিলের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হলে বর্তমান সরকার ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ৭ শত জন শিক্ষক-কর্মচারীদের বাৎসরিক যে ১৩ হাজার ৩শত ২ কোটি ৬০ লক্ষ ১২ হাজার টাকা প্রদান করেন তাতেই বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করা সম্ভব। বিজ্ঞপ্তি