বাড়তি গৃহকর নগরবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে

28

সারাবিশ্বের মানুষের মত মহামারী করোনার আঘাতে অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতবিক্ষত চট্টগ্রাম নগরবাসীও। ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দার কারণে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে চট্টগ্রাম শহর ছেড়ে নিজ গ্রামে চলে গেছেন। ফলে চট্টগ্রামের আদিবাসী যারা পূর্ব পুরুষের রেখে যাওয়া ভিটা-মাটিতে কয়েকটি ভাড়া ঘর নির্মাণ করে জীবন-যাপন করত স্থানীয় ভাষায় যাদেরকে জমিদার বলা হয় সেই নগরবাসীরা বর্তমানে আর্থিক ভাবে দৈন্যদশায় ভুগছে। প্রতিটি পাড়ায়-মহল্লায় গেলে দেখা যাবে এমন কোন বিল্ডিং নেই যেখানে মাসের পর মাস ‘ঘর ভাড়া দেওয়া হবে’ লেখা সাইন বোর্ড ঝুলানো নেই।
কিন্তু এই আদিবাসী নগরের বাসিন্দাদের সুখ দুঃখ-কষ্টের সাথী হচ্ছে নগর কর্তা অর্থাৎ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র মহোদয় যাঁকে নগরবাসী নগর পিতা নামে আখ্যায়িত করে থাকে। ২০১৭ সালে সাবেক মেয়র যখন নগরবাসীর উপর কয়েকগুণ গৃহকরের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিল সেই সময় ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ এর উদ্যোগে নগরবাসী প্রতিবাদ করলে সরকারের উচ্চ পর্যায় ও আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে স্থগিত থাকে। চলতি কর বছর থেকে চসিক আবারো সেই ২০১৭ সালের অমানবিক ও অসহনীয় করের বোঝা মহামারী করোনার কারণে আর্থিক ভাবে অভাব – অনটনে থাকা নগরবাসীর উপর চাপিয়ে দিয়েছে। ফলে ভাড়াটিয়ার খরায় অভাব -অনটনে থাকা অধিকাংশ নগরবাসীর হৃদয়ে আবারও শুরু হয়েছে রক্তক্ষরণ।
একদিকে করোনা মহামারী অন্যদিকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বির্পয়ের কারণে নিত্য-পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দরিদ্র্য নগরবাসীর জীবনযাত্রার ছন্দ পতন ঘটছে প্রতি নিয়ত। এমতাবস্থায় চসিক এর বাড়তি করের বোঝা সহনীয় পর্যায়ে রেখে, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে নির্ধারণ করা উচিত।
আমরা আশাকরি চসিক নগর পিতা তাঁর সন্তানদের বাড়তি করের বোঝা থেকে মুক্তি দিয়ে নগরবাসীর হৃদয়ের রক্তক্ষরণ মুছে ফেলে হৃদয়ে স্থান করে নিবেন।

হাজী আবদুর রহিম
যুগ্ম সম্পাদক
মতিয়ারপোল মহল্লা কমিটি