বালুখালী ক্যাম্পে আইয়ুবের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা সক্রিয়

32

উখিয়ার বালুখালী ২নং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠছে। ক্যাম্পের বিভিন্ন বøক থেকে যুবকদের নিয়ে গঠিত এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে মোঃ আইয়ুব নামের এক রোহিঙ্গা। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে আরো অন্তত ১২জন সদস্য। এসব সদস্যের মাধ্যমে বালুখালী ২নং ক্যাম্পে সংগঠিত হচ্ছে হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে কেফায়াত উল্লাহ(৩২) নামের এক রোহিঙ্গা ও মসজিদের ইমাম গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
বালুখালী ক্যাম্পের বিভিন্ন রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বালুখালী ২নং ক্যাম্পের হেডমাঝি রোহিঙ্গা নেতা আরিফ উল্লাহ হত্যা কান্ডের পর থেকে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই গ্রুপের সদস্যদের চাঁদা দিয়ে চলতে হয় অন্যান্য রোহিঙ্গাদের। এর প্রতিবাদ করতে গেলে নিহত অথবা আহত হতে হয় রোহিঙ্গাদের। যার ফলে চোখের সামনে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলতে পারছেনা সাধারণ রোহিঙ্গারা। চলতি বছরের গত ১১ ফেব্রুয়ারি মোঃ রফিক নামের এক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। তার ১দিন পর ১২ ফেব্রুয়ারি একই ক্যাম্পে মোহাম্মদ আলম (২২) নামে আরেক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মোঃ রফিককে হত্যার ঘটনায় মোঃ ছলিম নামের এক সন্ত্রাসীকে উখিয়া থানা পুলিশ আটক করলেও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা রয়েছেন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, তাদের গ্রুপের সদস্য হওয়ার জন্য তাকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে রাজী হয়নি। এই গ্রুপে কতজন সদস্য রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই যুবক জানায়, বালুখালী ২নং ক্যাম্পের আইয়ুবের নেতৃত্বে রয়েছেন মুহাম্মদুল্লাহ, নুর আলম, নাজুম উল্লাহ, আব্দুর রহিম, মুহিবুল্লাহ, আবুল ফয়েজ, হাশিম, খালেদ, মুছা, মোঃ নুর, শওকত উল্লাহ। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী অপপ্রচারসহ বিভিন্ন অপকর্ম করা।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের জানান, ক্যাম্পে কিছু কিছু রোহিঙ্গা নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। কিন্তু পুলিশ ৫ ক্যাম্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে এদের নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।