বাঘাইছড়ি ও লংগদুতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন দ্রুত চালুর দাবি

14

এম কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি

জেলার দুর্গম প্রত্যন্ত উপজেলা ও স্থানীয়ভাবে বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাঘাইছড়ি ও লংগদুতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর এক দুইবার বাঘাইছড়ি ও লংগদুতে অগ্নিকান্ডে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়িদের। স¤প্রতি বাঘাইছড়ি উপজেলার দুরছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ৮০টি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান পুড় ছাই হয়ে যায়।
এতে করে ৪০-৫০ কোটি টাকার মত লোকসানে পড়েছে ব্যবসায়িরা। চলতি বছরে বড় বড় অগ্নিকান্ড ঘটেছে সুভলং বাজার, মাইনী মূখ বাজার ও জেলা সদরের ভেদভেদি বাজারে। এছাড়াও জেলা এবং জেলা শহরের বাহিরে বিচ্ছিন্ন ভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এতে দোকানপাট ঘরবাড়ি ও ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে।
লংগদু ও বাঘাইছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু এবং নির্মাণে ধীরগতি হওয়াতে স্যোসাল মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে। এক কথায় ধীরগতিতে চলছে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাজ। লংগদু ও বাঘাইছড়িতে ফায়ার স্টেশন স্থাপনে মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসকের বরবারে স্বারকলিপি ও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও ধীরগতিতে চলছে তার কাজ। বাঘাইছড়ি চৌমুহনী ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি ও সাবেক পৌর প্রশাসক বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন বাবু বলেন, বাঘাইছড়িতে ফায়ার স্টেশন স্থাপন হচ্ছে শুনে আসছি অনেক দিন ধরে। কিন্তু এখনো চোখে দেখিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। সবে মাত্র জমি ক্রয় করা। তবে ফায়ার স্টেশন স্থাপন এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঘাইছড়িতে একটি ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন থাকলে দুরছড়ি বাজার রক্ষা করা সম্ভব হতো। দুরছড়ি বাজার সভাপতি মদন দাশ জানান, সম্প্রতি দুরছড়ি বাজারে যে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে গেল তাতে ব্যবসায়িরা একেবারে পঙু হয়ে গেছে। প্রতি বছর দুরছড়ি বাজারে অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা ঘটে থাকে এতে ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে গেছে। তাই ফায়ার স্টেশন নির্মাণ সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে। বনরুপা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু সৈয়দ বলেন, প্রতিটি মাসিক সমন্বয় সভায় বিভিন্ন ইস্যুর সাথে ফায়ার সাভিস স্টেশন নিয়ে কথা উঠে কিন্তু তার বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছিনা। আমরা ব্যবসায়িরা বার বার দাবি দিয়ে আসছি রিভার ফায়ার সাভিস স্টেশনের জন্য কিন্তু প্রশাসন তার মূল্যায়ন করছে না। আর যে সকল ফায়ার সাভিস চালু হওয়ায় কথা সেগুলোও চালু হচ্ছ না। প্রতি বছরই জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে আগুনে পুড়ে বিশাল ক্ষতি হচ্ছে যার লাগাম টানতে হিমশিম ক্ষেতে হবে ব্যবসায়িদের।
রাঙামাটির ফায়ার সাভিসের সহকারি পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, বাঘাইছড়ি ফায়ার সাভিসের জন্য জমি ক্রয় করা হয়েছে মাত্র। বরাদ্দ আসলে কাজে হাত দেওয়া হবে। আর লংগদুতে ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। সবকিছু চলে আসছে। এখন বাকি আছে চালু করা। বিদ্যুৎ সমস্যা ও জনবল নিয়োগ হলেই চালু করা হবে।