ফটিকছড়িতে অবৈধ ব্যাটারি রিকশা চলছেই

28

শহিদুল ইসলাম, ফটিকছড়ি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সড়কগুলোতে চলছে অনুমোদনহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। সরকার থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পথঘাটে চলছে অনুমোদনহীন এসব রিকশা। বেপরোয়া গতিতে শিশু-কিশোরদেরও দেখা যায় এসব রিকশা চালাতে। দ্রুতগতির এসব হালকা বাহনে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। উপজেলার পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পেডেলচালিত রিকশা তেমন নেই। গ্যারেজগুলোতেও ব্যাটারিচালিত রিকশা। সাধারণ রিকশার মালিকেরা বাড়তি আয়ের জন্য ঝুঁকছেন ব্যাটারিচালিত রিকশার দিকে। পায়েচালিত একাধিক রিকশাচালক বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে অর্ধেকেরও বেশি যাত্রী কমে গেছে। বেশির ভাগ যাত্রী ব্যাটারিচালিত রিকশায় যাতায়াত করেন। আগের মতো আয় হয় না। আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। স্থানীয় রিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি সাধারণ রিকশা থেকে অটোরিকশায় (ব্যাটারিচালিত) রূপান্তর করতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সারা রাত চার্জ দিয়ে পুরো দিনই চালানো যায়। পায়ে চালিত রিকশা চালিয়ে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় কম পরিশ্রমেই দিনে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করা যায়।
ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মুহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘আমার বয়স প্রায় ৪৫। আট থেকে ১০ বছর পায়ে চালিত রিকশা চালিয়েছি। এখন শারীরিকভাবে অসুস্থ, এ কারণে পায়ে চালিত রিকশা চালাতে পারি না। আমার পরিবারে নয়জন সদস্য। তাই বাধ্য হয়েই এখন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাই। একাধিক যাত্রী জানান, প্রায়ই ব্যাটারিচালিত রিকশায় দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়, এ কারণে এ রিকশায় যাতায়াত করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর ক্ষেত্রে চালকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজ উদ দৌলাহ বলেন, অনুমোদনহীন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে আমরা পৌর শহরে অভিযান চালাতে উপজেলা সমন্বয় সভায় একাধিকবার জানিয়েিেছ। কিন্তু প্রশাসনের কোন উদ্যোগ দেখছিনা। তবে আমাদের এ অভিযান বন্ধে উদ্যোগ চলমান রয়েছে।’