প্রত্যাবর্তন

71

আমার আর এইরকম থাকতে ভাল লাগতেছে না। আপনি আসবেন কখন সেটা বলেন!
– কেন, কী হয়ছে? এতো তাড়া কিসের! আমার মায়ের সাথে থাকতে পারলে থাকো। নয়তো বাপের বাড়ি চলে যাও!
– আপনি আমাকে এইকথা বলতে পারলেন? ঠিক আছে, আমি চলে যাচ্ছি। আপনার মা আমাকে এখনো মেয়ে হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। আমাকে যে অত্যাচার করে! এইসব আর সহ্য করতে পারছি না।
– যাও যাও, যাওয়ার সময় আমার ফাইরুজকে রেখে যাও!
– দরদ! পারলে এসে নিয়ে যান।
এ কথাগুলোই শুধু হয়েছিল মিসবাহ নামের ঐ পাষাণের সাথে। নিজের স্বামীকে পাষাণ বলতে মন সায় দেয় না। তবুও তিক্ত হয়ে গেছে সে। এ জগৎসংসারে মেয়েদের জন্মই বুঝি কষ্ট সহ্য করার জন্য হয়েছে। কি সুন্দর সংসার ছিল ক’দিন আগে। আমার পুতুল, আমার পুতুল বলে ঘর মাতিয়ে রাখতো তার স্বামী। কিন্তু মেয়েটা হতেই কেমন জানি সব পাল্টে যেতে লাগল। পুলিশের চাকুরীর কারণে সারাটা জনম থাকে বাইরে বাইরে। এদিকে শাশুড়ির জ্বালা দিনরাত সহ্য করতে হচ্ছে পুতুলকে।
ওর পুরো নাম আজমেরী হাসনা পুতুল। পুতুল নামেই প্রেমে পড়েছিল মিসবাহ উদ্দিন বাহার। দু’বছর সম্পর্কের পর বিয়ের পিঁড়িতে বসে। চোখ জোড়া তার পদ্ম জলের দীঘি। নামেই যেন লুকিয়ে আছে এই রমণীর রহস্য। কোঁকড়ানো চুল। স্মিত হাসি। নাকের ফুটো খুব ছোটো। কথা বলে ধীরে সুস্থে-মিষ্টি গলায়। শরীর দেখতে আকর্ষণীয়। ভক্তিমতী। নামাজ-কালাম নিয়ে বেশ মগ্ন থাকতে ভালোবাসে। এককথায় সুন্দরী। শরীরে লোমের আধিক্য কম। শরীরের গোপনে পদ্মগন্ধের ঘ্রাণ মেলে। এই পুতুলের সবটুকুই দেখেই মিসবাহ সেদিন প্রেমে পড়েছিল কিনা জানি না কিন্তু এখন টুনকো সম্পর্কের মত হুট করে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চায়! খুব কষ্ট পেয়েছে সংসার পাতার পর থেকেই। পোয়াতি হয়েও অনেক দখল সয়ে গেছে এ সংসারে। শাশুড়িকে নিজের মায়ের মত সেবা করে গেছে। কিন্তু ছেলে জন্ম দিতে না পারার অভিযোগ এনে সংসারে কলহ শুরু করে দিয়েছে এ বুড়ী। সেই থেকে এই ঝড় আর থামেনি। তার শাশুড়ি একবারও তাকে মুখের ঠ্যালায়ও যেতে বারণ করে নি! শেষমেশ মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি রওনা দিল পুতুল।
অভাবের সংসার। বাপ বেঁচে নেই। মায়ের যায়যায় অবস্থা। ছোট দু’টো ভাই আছে। সাগর গাড়ি চালিয়ে সংসারক চালায়। রহিম স্কুলে পড়ালেখা করে। বোনের চলে আসায় দু’ভাই খুব খুশি। তারা এখনো বুঝে না মেয়েদের বাপের বাড়ী একেবারে চলে আসাটা পাপ! যে করেই হোক সব সহ্য করে শ্বশুড়বাড়ি ঠিকে থাকতে হয়! তারউপর বাচ্চা হওয়ার পর তো একদমই নয়! কিন্তু রহিম খুব খুশি। এই লকডাউনে সময় কাটানোর জন্য ভাগ্নীকে অবশেষে কাছে পেল। ফাইরুজ নূর পুরো নাম। বয়স মাত্র দুবছর হল। মায়ের মতই সুন্দর হয়েছে। চোখ দুটো আরও সুন্দর। যেই তাকায় সে মায়ায় পড়ে যায়। স্বাস্থ্য বেশ নাদুসনুদুস। গুছিয়ে খুব সুন্দর করে কথা বলতে পারে তার জন্য মামারা খুব বেশি আদর করে তাকে। কিন্তু অভ্যাস সব বাবার মত। একগুঁয়ে। এই ছোট বয়সে প্রচন্ড রাগ করে বসে থাকে। মায়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সেও বাবার উপর রাগ করে বসে আছে। স্মরণশক্তি হওয়ার পর থেকে সে বাবাকে দেখেছে একবার।
“পুলিশের চাকরি কি শুধু আমার বাবা করে, মামা?
আর কেউ করে না?
সবার ছুটি আছে।
আমার বাবার নাকি অনেক কাজ!
শুধু মোবাইলে পাপ্পি দেয়, কোনদিন জড়িয়ে ধরতে পারিনা।
পাশের ঘরের হুমায়ুন রোজ বাপ্পিকে আদর দেয় জড়িয়ে ধরে!”
এক নিঃশ্বাসে জমানো ক্ষোভগুলো ছেড়ে দেয় ছোট মামা রহিমকে। মামাও তাকে বুকে জড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে!
আবদুল খালেক মেম্বার ছিল পুতুলের বাবা। নিজের সততার কারণে পরিবারের আজ এই অবস্থা। একটুকরো ভিটের মাটিও জমা করতে পারে নি। বাপের ভিটেয় পড়ে আছে। পাশাপাশি তিনটি ঘর। এক চালে। সেখানে কোন রকম মাথা রাখে। সামনে একটি বারান্দা আছে। মজবুত পাকা মেঝের সেগুন কাঠের ঠুনির ওপর বারান্দাটা দাঁড়িয়ে আছে। চারদিকে কাঠের ফ্রেমের ওপর ঢেউটিনের আচ্ছাদন। আচ্ছাদনের উর্ধ্বে চতুর্দিকে বাঁশ ও বেতের নকশা। নকশার ভেতর ছোট গোল ঝকমকে কাচ বসানো। সম্পদ বলতে এটিই আছে তাদের। একালে এরকম সৎ মানুষের কোন কাজ নেই! তার ইউনিয়নের বাকি মেম্বাররা পাকা বাড়ি করেছে। নিজের একটা করে টিউবওয়েল হয়েছে। আর খালেক মেম্বার নিজের বের হওয়ার রাস্তায় মাটিও দিতে পারে নি। হাঁপানির সমস্যায় একদিন ফজরের সালাত শেষ করে পরপারের উদ্দেশ্য রওনা হয়! জমানো কোন অর্থ ছিলনা তাই বাধ্য হয়ে বড় ছেলে গাড়ি চালিয়ে রোজগার করে। মিসবাহের মা ও মেম্বারের মেয়ে দেখে বউ করতে রাজি হয়েছিল সেদিন। অর্থলোভে। কিন্তু পরে যখন জানতে পারে অর্থকড়ি নেই তখন থেকেই খোঁটা দিতে দিতেই পুতুলের ভেতরের বোধকে মেরে ফেলেছে প্রায়। পুতুল বসে বসে ভাবে তার স্বামী মিসবাহও মনে হয় মেম্বারের মেয়ে দেখে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল! গত একবৎসর ধরে চাকুরীর প্রমোশনের জন্য টাকা চাচ্ছে মা-ছেলে দুজনেই! তিন লাখ টাকা এনে দিলে ঠাঁই হবে নয়তো বাপের বাড়ী দূর হও। এসব কথা কানে বাজতেছে তার খুব। অথচ সেদিন তার বাবা তার সুখের দিকে চেয়ে তার সম্পর্ককে মেনে নিয়েছিল। আজ কোথায় সুখ আর কোথায় বাবা? চোখ মুছতে মুছতে উঠে দাঁড়াল। আছরের আজান হয়েছে। অযু করতে পুকুর ঘাটে চলে গেল।
– আইচ্ছা মা, টাহার জইন্য ওরে জোর করে বাপের বাড়ী পাডানো কি ঠিক হইল? এইরহম যৌতক লইলে গুনা হইব না?
– মার হতার অবাইধ্য হলি জাহান্নামত যাবি। মাথায় রাহিস। তর প্রমোশোন লাইগব, এইডা চাই আগে। মার গয়না বন্ধক দিই, হেইডা কি তুই চাস? ও ঠিক্কই টাকা আইনা দিব। ধৈর্যি ধর। বউয়ের ননাইয়া হতায় মার হতার অবাইধ্য ন অয়স!
– আইচ্ছা।
কিন্তু তারপরও কেমন যেন একটা ব্যাথা অনুভব করে বউয়ের জন্য। মায়া জমে তার ফাইরুজের জন্য। এই লোভেই কি সে সব হারিয়ে ফেলছে। অথচ ভালোবেসে বিয়ে করেছিল সে। নাহ, মায়ের কথার অবাধ্য হয়ে জাহান্নামে যাইতে পারবে না। অফিসের দিকে হাঁটে। আজকে প্রমোশনের একটা বন্দোবস্ত হইবে তার। চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে বসে আছে। মাত্র ডিউটি শেষ হয়েছে। হঠাৎ ফোন এলো তার। স্ক্রিনে নাম্বার লেখা পুতুল! ধরতে মন চাইছে আবার মায়ের জোর দিয়ে বলা কথায় আস্থা বেড়ে গেল। নাহ, তারপরও কেন জানি রিসিভ করল।
– হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম। শুনছেন, আমার মা দুনিয়ায় আর নাই! কালকে এগারোটায় দাফন হইবো। আমার আর দুনিয়ায় কেউ রইলো না!
হাউমাউ করে কান্নার আওয়াজ। লাইনটা কেটে গেল। কেউ যেন গলার আওয়াজ চেপে ধরলো তার। কোন কথাই বলতে পারল না। নিজেকে খুব অপরাধী মনে হল। কিছুদিন আগে তার শাশুড়ি কল করে চিকিৎসার কিছু টাকা ধার চেয়েছিল, সেদিন সে খুব খারাপ ব্যবহার করে কল রেখে দিয়েছিল। আজ তিনি মারা গেলেন! ওনার উপর কতটা জুলুম হলো তা ভেবে অনুশোচনার সীমা রইল না। প্রমোশনের টাকা তার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে সে যে মস্তবড় ভুল করেছে সেটা সে দেরীতে হলেও উপলব্ধি করতে পারল! অস্পষ্টভাবে কেঁদে উঠলেন তিনি। মায়ের যৌতুক প্রবণতার কারণে নিজের বউ আজ অনেক দূরে। মেয়েটার মাও আজ দুনিয়াতে নেই। আজ যে করেই হোক জানাজায় উপস্থিত হবে সে। তারপর বউকে নিয়ে যাবে শ্বাশুড়বাড়ি। আগের মত মানসিক পরিতৃপ্তি নিয়ে বসবাস করতে চাই মিসবাহ। তার প্রথম যৌবনের সব স্বপ্নকে কিছু টাকার কাছে এভাবে হেরে যেতে দিবে না!
আসরের নামাজের পর মায়ের নড়াচড়া নাই দেখে সবাই আন্দাজ করে নিয়েছে পুতুলের মা আর দুনিয়ায় নেই। বাড়ি জুড়ে কান্নার রুল পড়ে গেল। আকাশে মেঘের কোল ঘেঁষে শকুন উড়ছে। অসংখ্য শকুন। গত দুবছর হয়েছে মাথার উপর যে একটা আকাশ ছিল সেটি বিদায় নিয়েছিল। আর আজকে মায়াভরা কোলটাও খালি হয়ে হেল। পুতুল ভাবতে লাগল- উড়ন্ত শকুনগুলো তাকে নিঃসীম আকাশের দিকে নিয়ে যেতে মৃত আকাশটাকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীর মতো অন্য কোন গ্রহের ওপর চাঁদোয়া টাঙিয়ে কি তার জন্য অপেক্ষা করছে? নাকি এসব তার কল্পনা? কোনকিছু ঢুকেেছ না মাথায়। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তার স্বামীকে কল দিয়েছে। ভেবেছিল জোরে জোরে কান্না করে তার অপরাধ শুনবে। কিন্তু দাগকাটা ওষুধের শিশির মতো তা কি আর মুছা যায়! ভাঙা বেদনা। বেদনার ফিকে লাল দানাভরা একটা তশতরি। লোবান জ্বলছে। তার বিছানার পাশে রেহেল রাখা একখানা বড় সাইজের কুরআন শরীফ। একটু আগেও রহিম তেলাওয়াত করছিল। দূরের আত্নীয়স্বজন সবাই মাকে দেখে যার যার গ্রামগঞ্জে ফিরে গেছে। মায়ের কি অসুখ সেটা কেও স্পষ্ট করে বলতে পারে না। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ আগে বিছানায় যে শুয়েছেন আর উঠতে পারেন নি। মায়ের মৃত্যুতে কাঁদেনি শুধু দুটি প্রাণী। পুতুল আর ফাইরুজ। দুজনের একজনকে তার ভালোবাসতো। অন্য জনকে স্নেহ। শোকের কান্না কিভাবে করতে হয় তা আসলেই ভুলে গেছে সে! এমনিতেই সে গত একবৎসরে নানা রোগে আক্রান্ত। ইনসমনিয়া তার মধ্যে অন্যতম। চিন্তায় চিন্তায় তার শরীর হয়েছে পঞ্চাশ বৎসরের বুড়ীর মত। আগের সেই সৌন্দর্য এখন আর শোভা পায় না পুতুলের শরীরজুড়ে। নিজের এসবের মাঝে আবার প্রিয়জন হারানোর ব্যাথা! কি করে সইবে এসব! বিয়ের পরে মেয়েদের প্রিয়জন হয় শুধু স্বামী। সেই স্বামী যেখানে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল সেখানে আর কারও বিচ্ছেদের ব্যাথা অনুভবে আসে না।
– নানুমনি, মরে গেল কেন? আমরা আসলাম তাই? ওমা, বল না। কথা বল?
নানুমনি তো আমি আসলে অনেক খুশি হয়। এবার চুপ কেন?
আচ্ছা মা, মরে গেলেই কি চুপ থাকতে হয়?
ফাইরুজের কত প্রশ্ন! এসব বলতে বলতে দৌঁড়ে চলে গেল মায়ের কোল হতে। এসব প্রশ্নের কোন উত্তর নেই?
মিসবাহ গাড়ির টিকেট কেটেছে। গন্তব্য সোজা শ্বশুড়বাড়ি। জানাজা মিস করেছে সে। তারপরও সে যেতে চাই। অন্তত স্বান্তনা দিয়ে পাশে দাঁড়াতে চাই। এগারোটার মধ্যে অনেক চেষ্টা করেছিল আসার কিন্তু পেরে উঠেনি। প্রমোশন নিয়ে ব্যস্ত ছিল। প্রমোশন হয়েছে অবশেষে। এই খুশির সংবাদ যাকে জানালে সবচেয়ে খুশি হওয়ার কথা সে মৃত মায়ের পাশে বসে আছে! তাই আর কল করে বলার সাহস হয়ে উঠে না তার। কোনমতে পৌঁছাল শ্বশুড়বাড়ি। যদি সে পুতুলকে কল করতো তাহলে বিরাট লজ্জার ব্যাপার হয়ে দাঁড়াত! কারণ জানাজায় সে অংশ নিয়ে পারেনি। ভাগ্য ভাল কল দিয়ে জানিয়ে দেয় নি। তার শ্যালা রহিম কল করেছে তিন-চারবার। কেটে দিয়েছে। সে যে আসছে সেটা জানাতে বিবেকে বাঁধছে তার। তাই নিরবে এসে নিজরে গুনাহ মাফ করতে চেয়েছে সে। তার মায়ের কলও এসেছিল। রিসিভ করেনি। যদি জেনে যায়! সোজা শ্বশুড়বাড়ির পথ ধরে এগিয়ে যাচ্ছে সে। কিন্তু মাঠে মানুষের প্রচুর ভীড়। সময় দুপুর ২টা। জানাজা শেষ হয়ে গেছে তিন ঘন্টা আগে। কিন্তু লোকে লোকারণ্য! তাহলে কি জানাজা এখনো হয়নি! তারজন্য অপেক্ষায় করছিল? না, না তা কেন হবে! সে যে আসছে সেটা খবর তো কেউ জানে না। তাহলে এতো লোকের ভিড় কেন মাঠে? অনেক প্রশ্ন জাগে তার মনে। সম্ভবত কোন কারণে পিছিয়েছে জানাজা। যাক, ভালোই হল অন্তত নামাজে তার ঠাঁই হয়েছে। নিজেকে অপরাধী থেকে একটু হলেও মুক্তি দিতে পেরেছে। হঠাৎ দেখল জমির আইলে তার ছোট্ট মেয়েটা বসে আছে, আর কান্না করছে গালে হাত দিয়ে। বাবাকে দেখেই দৌঁড়ে চলে গেল অপরদিকে।
– ফাইরুজ, ফাইরুজ, মা এদিকে এসো। আমি তোমাকে নিতে এসেছি।
ফাইরুজ দাঁড়িয়ে গেল। বুকে নিল তাকে। ফাইরুজ জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে তার বাবাকে। জানাজার কাতারে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে সবাই!
– আম্মু, আমার প্রমোশন হয়েছে। আমরা সবাই আজকে দাদুরবাড়ি চলে যাব। তোমার মায়ের জন্য একটা হার এনেছি, দ্যাখো!
– আব্বু, এটা আমি মাকে পরিয়ে দিয়ে আসি?
– হারিয়ে যাবে মা, অনেক দাম!
– হারাবে না। তুমি দাও!
ছুঁ মেরে নিয়ে গেল ফাইরুজ। মিসবাহ তাকিয়ে আছে মেয়ে কোনদিকে যাচ্ছে। এত দামি হার! মেয়েটা যদি হারিয়ে ফেলে। কিন্তু মিসবাহ অবাক হল। কিরে, লাশের খাটিয়ার দিকে কেন যাচ্ছে ফাইরুজ?
– ওদিকে যেও না, মা। ফাইরুজ, ফাইরুজ!
বলতে বলতে মিসবাহও পেছনে গেল।
ফাইরুজ আস্তে করে সাদা কাফনের উপর হারটা রাখল! আর বলতে লাগলো-
– মা, বাবা এসেছে, ওনি এনেছে হারটা, আজকে আমরা দাদুরবাড়ি যাব।
এবার কথা বল, মা!