আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ : বাঙালির ঐতিহ্যচর্চার এক নিরলস সাধক

20

নুরুল ইসলাম

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সংগ্রাহক সুচক্রদন্ডী নিবাসী মুন্সী আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ। উভয় বাংলার গবেষণাধর্মী মুসলিম বাংলা সাহিত্যের অগ্রদূত হিসেবে যাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের অবদান শুধুমাত্র প্রাচীন পুথিঁপত্র সংরক্ষণের জন্য নয়। তিনি বাঙালি মুসলমানদের আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে গৌরবোজ¦ল অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত পুঁথি গবেষক ও সংগ্রাহক মুন্সী আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ পটিয়া থানার সুচক্রন্ডী গ্রামে ১৮৭১ খ্রিঃ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম নুরুউদ্দীন ও মাতার নাম মিশ্রীজান। মাতৃগর্ভে ছয়মাস বয়ঃক্রমকালে তাঁর পিতৃ বিয়োগ ঘটে। জন্মের পর পিতামহ মোঃ নবী চৌধুরী, পিতৃব্য আইন উদ্দীনের ¯েœহে ও যতেœ প্রতিপালিত হয়। তিনি ১৮৯৩ সালে পটিয়া হাই স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাস করে চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার পূর্বেই তাঁকে স্বাস্থ্যগত কারণে পড়ালেখা ছাড়তে হয়। তবুও তিনি সংস্কৃত ভাষায় পান্ডিত্য অর্জন করতে সক্ষম হন। এই সময়ে আর্থিক দুরবস্থার কারণে তিনি শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত হন। এভাবে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত তিনি পুরো কর্মজীবন কখনো শিক্ষকতা, কখনো সিভিল কোর্ট বা শিক্ষা অফিসে কেরানীর কাজ করে কাটান। ১৮৯৫ খ্রিঃ চট্টগ্রাম মিউনিসিপাল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি এ সময় সীতাকুন্ড মধ্য ইংরেজী বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অস্থায়ী পদ গ্রহণ করেন। তিনি ১৮৯৬ খ্রিঃ চট্টগ্রাম প্রথম সাব জজ আদালতে শিক্ষা নবীস পদে যোগদান করেন। ১৮৯৯ খ্রিঃ আনোয়ারা মধ্যে ইংরেজী বিদ্যালয়ে চাকুরী করেন। ১৯০৬ খ্রিঃ চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্কুলে ইন্সপেক্টরের অফিসে কেরানী হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
সাহিত্য বিশারদের বাড়ীতে আজ আর সে শ্রী নেই। সাহিত্য প্রেমিক তথ্যানুসন্ধানী মানুষ আজ কাল তাঁর বাড়িতে গিয়ে মনের ক্ষিদে নিয়ে ফিরে আসে, কারণ বাড়িটিতে আজ আর এমন কেউ নেই যে, প্রানের টানে ছুটে আমাদের প্রাণ তৃষ্ণা মিঠাবে। সাহিত্য বিশারদের জীবন দশায় এ বাড়িতে আগমন ঘটেছিল ডক্টর মুহম্মদ এনামুল হক সহ দেশের অনেক নামজাদা ব্যক্তিত্বের। অমর গবেষক শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করলে বাড়িটির সর্ব প্রকার কর্ম কোলাহল থেকে যায়। তাঁর কোন পুত্র সন্তান ছিল না। ছিল একটি মাত্র মেয়ে। তার নাম আলতাফুন নেছা। তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয় চট্টগ্রামস্থ পাঁচলাইশে। সেও আজ বেচেঁ নেই। অপুত্রক হওয়ার কারণে সাহিত্য বিশারদের চাচাতো ভাইপো ড. আহম্মদ শরীফকে দত্তক হিসেবে গ্রহণ করেন।
ড. আহম্মদ শরীফের মতে আবদুল করিমই বাঙালি মুসলিমকে এই আত্মবিনাশী মরীচিকা-মোহ থেকে উদ্ধার করেছেন বাংলা ভাষায় মুসলিম রচিত সাহিত্যের সন্ধান দিয়ে। তিনি প্রথম জীবনে গ্রাম্য মধ্য ইংরেজি স্কুলে শিক্ষক এবং মধ্য বয়স থেকে বিভাগীয় বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে কেরানি ছিলেন। দেশের মাটি, মানুষ ও সাহিত্যের প্রতি কত গভীর মমতা থাকলে রোজ দশটা থেকে পাঁচটা অবধি কেরানির খাটুনির পরও একাগ্রমনে প্রাচীন হাতের লেখা দুষ্পাঠ্য পুঁথি নিয়ে কঠিন কর্মে নিশিরাত অবধি নিরত থাকা সম্ভব-তা অনুভব করলে বিস্মিত হতে হয়।
আবদুল করিম ব্যক্তিগত জীবনে যেমন, গবেষণা ক্ষেত্রেও তেমনি সত্যনিষ্ঠা ও সত্য-সন্ধানি ছিলেন। কোনো প্রলোভনের বশে তিনি তার বিবেক-বুদ্ধিকেও জ্ঞান-বিশ^াসকে প্রতারিত করেননি। স্কুলে তিনি আদর্শ শিক্ষক এবং অফিসে কর্তব্য-নিষ্ঠা কেরানি ছিলেন। সৌজন্যেই যদি সংস্কৃতিবানতার পরিচয় মেলে, তাহলে মানতে হবে সুজন আবদুল করিম দুর্লভ মানবিক গুণসম্পন্ন সংস্কৃতিবান নাগরিক ছিলেন। তিনি জীবনে কোনো সংস্কারের দাসত্ব করেনি। এই যুগ দুর্লভ মুক্তমন ও স্বচ্ছবুদ্ধি মানববাদী না হলে কারো আয়ত্তে আসে না। মানুষকে যে তিনি নিবর্ণ মানুষ হিসেবেই দেখেছিলেন, তার প্রমাণ মেলে ১৯৫২ সনে কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত সংস্কৃতি সম্মেলনে সভাপতি রূপে প্রদত্ত তাঁর ভাষণে। তিনি মানবিক সমস্যার বৈজ্ঞানিক ও যৌক্তিক সমাধানে আস্থাবান ছিলেন। তিনি যে সংস্কারমুক্ত মানববাদী ছিলেন, তাও অশীতিপর বৃদ্ধের উক্ত ভাষণে প্রকটিত। সাহিত্যের অঙ্গণে তাঁর বিচরণ ক্ষেত্র ছিল প্রাচীন ও মধ্যযুগের পরিসরে। কিন্তু তাঁর মন ও রুচি মধ্যযুগীয় ছিল না। এক উদার মানবিক বোধের প্রেরণায় তিনি আধুনিক ও মানববাদী ছিলেন।
বাংলা সাহিত্য ভান্ডার যাঁর কাছে ঋণী, যারা পল্লীর মানুষকে নিয়ে সাহিত্য সাধনার কথা ভাবেন তারা যাদের কাছে ঋণী সমাজের উত্তম সেবার আদর্শ স্থাপনে আগ্রহীদের কাছে যারা জনহিতৌষী দিক দর্শন তাদের মতই সাধক পুরুষ মরহুম আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ।
অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি পুঁথি সংগ্রহের কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। কষ্টার্জিত অর্থকে নি:শেষ করতে থাকেন সাধনার পিছনে। তিনি যে শুধু পুঁথি সংগ্রহ করে সুনাম অর্জন করেছেন তা নয়। তিনি আড়াই সহ¯্রাধিক পুঁথির পান্ডুলিপি সংগ্রহ করেন এবং ছয় শতাধিক গবেষণামূলক মৌলিক প্রবন্ধ রচনা করেন।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ পর্যায়ে তিনি অক্ষয়চন্দ্র সরকারের (১৮৪৬-১৯১৭) পূর্ণিমা (প্রকাশকাল ফেব্রæয়ারি ১৮৯৬ হতে ডিসেম্বর ১৮৯৯) পত্রিকায় সাহিত্যের ইতিহাস সাহিত্যমূল্য দুই বিচারেই অত্যন্ত মূল্যবান একটি প্রবদ্ধ প্রকাশ করেন। শিরোনাম, “অপ্রকাশিত প্রাচীন পদাবলী”। এই প্রথম আলাওল, সৈয়দ সুলতান, নরোত্তম ঠাকুর, মুক্তারাম সেন, শেখ ফয়জুল্লাহ প্রমুখের নাম জানলেন কলকাতার বিদগ্ধ পÐিতমহল।
আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন। মুসলিম লীগের রমরমা কিংবা মুসলিম জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রবল জোয়ারের সময়েও এই অসচ্ছল পন্ডিত মানুষটি নিজ গ্রামে থেকে আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অনেক বড় মাপের ঐতিহাসিক কাজে অভিভাবক হিসেবে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন বৃদ্ধ বয়সেও। চট্টগ্রামে প্রগতিশীল চেতনা থেকে ১৯৫১ সালে এবং কুমিল্লায় ১৯৫২-তে যে দুটি ঐতিহাসিক সংস্কৃতি সম্মেলন হয়েছিল, সেই দুটিরই সভাপতি ছিলেন আবদুল করিম। দুই সম্মেলনে প্রদত্ত তাঁর ভাষণ আজও সাধারণভাবে বিভ্রান্ত বাঙালি এবং বিশেষভাবে বাঙালি মুসলিম সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক।
তাঁর সম্পাদিত বাঙ্গালা প্রাচীন পুঁথির বিবরণ (প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড), নরোত্তম ঠাকুরের “রাধিকার মানভঙ্গ”, কবি বল্লভের সত্য নারায়ণের পুঁথি, দ্বিজরতি দেবের মৃগযুদ্ধ, পুঁথি দ্বিজ মাধবের গঙ্গামঙ্গল, আলী রাজার জ্ঞান সাগর, বাসুদেব ঘোষের শ্রী গৌরাঙ্গ সন্ন্যাস, মুক্তারাম সেনের সারদা মঙ্গল, শেখ ফয়জুল্লার গৌরক্ষ বিজয়, প্রভৃতি কলিকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও ১৯৩৬ সালে ড. এনামুল হকের সহযোগিতায় আরাফান রাজ সভার বাংলা সাহিত্য গবেষণা গ্রন্থটি রচনা করেন সাহিত্য বিশারদ। ১৯৬৪ সালে তাঁর রচিত ‘ইসলামাবাদ’ নামক ইতিহাস গ্রন্থটি বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশ হয়। সাহিত্য কর্ম ও গবেষণায় তাঁর এ অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য চট্টগ্রামের সাহিত্য বোদ্ধাগণ তাকে সাহিত্য বিশারদ ও নবদ্বীপের পন্ডিত সমাজ তাকে সাহিত্য সাগর উপাধিতে ভূর্ষিত করেন।
আবদুল করিম স্থানীয় ইউনিয়ন বোর্ডের ও পটিয়া ঋণ সালিশী বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের ১৯০৩ খ্রি: সদস্য ও ১৯৩৬ খ্রি: সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। আবদুল করিম ১৯১৮ খ্রি: চট্টগ্রাম সাহিত্য সম্মেলনের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জ্ঞান ও অধ্যবসায়ে মুগ্ধ হয়ে তাকে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রাস ও বি.এ. বাংলা পরীক্ষক নিযুক্ত করেন। ১৯৫১ খ্রি: তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অনার্সের একটি পত্রের প্রশ্নকর্তা ও পরীক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন।
সাহিত্য বিশারদের সামগ্রীক মূল্যায়ন এখনও হয়নি, এ কথা যেমন সত্য তেমনি সত্য যে, এখনো তাঁর সমগ্র রচনা উদ্ধার করা হয়নি। আবুল আহসান চৌধুরীর সম্পাদনায় তাঁর রচনাবলির দ্বিতীয় খন্ডে প্রকাশিত হলে, এই অভাব অনেকখানিই পূরণ হবে। আত্ম-অন্বেষার যে সাধনা সাহিত্যবিশারদ শুরু করেছিলেন, বাঙালি এখনই সেই ধারায়ই চলছে। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই চিন্তানায়ক বাঙালি মুসলমানকে এবং বৃহদার্থে বাঙালি সমাজকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁর আত্মা-অন্বেষা সম্পর্কে আবুল আহসান চৌধুরীর অভিমত প্রণিধানযোগ্য।
আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ বাঙালির ঐতিহ্যচর্চার এক নিরলস সাধক। তাঁর অনুসন্ধিৎসা ও আগ্রহ ছিলো বহুমুখী ও বৈচিত্র্যমÐিত। স্বচ্ছ ও গভীর ছিলো তাঁর দৃষ্টি। এই জ্ঞানতাপস জীবিতকালেই বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগচর্চার প্রবাদ-পুরুষ হয়ে উঠেছিলেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত, উদার মহাবলম্বী, সাহিত্যবিশারদ সারাজীবনই ঐহিত্য-সন্ধান ও জ্ঞানের সাধনায় ছিলেন নিবেদিত। সাহিত্য ও সংস্কৃতিসাধনা ছিলো তাঁর জীবনচর্চারই নামান্তর।
তাঁর কর্মের মূল্যায়ন যেমন জরুরী, তেমনি তাঁর পথ ধরে নেপথ্য নির্দেশনায় আরও পথ আমাদের হাঁটতে হবে। তিনি একজীবনে একা যা করে গেছেন, আমরা হয়তো তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম ধরেও সেই মাপের কাজ করতে পারব না। বাঙালির আদর্শ এই মনীষীর অবদানকে তাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখতে হয়। প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিদের তালিকায় রাখা গেলে তাঁর অবদানের কিছুটা হলেও মূল্য দেওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গক্রমে বর্তমানে যুগে বৃহত্তর রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিধিতে সাহিত্য বিশারদের যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ না করে পারছিনা। সাহিত্যবিশারদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য বাংলা একাডেমির সুপরিসর মিলনায়তনের নামকরণ করা হয়েছে, যাহা “আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন”। চট্টগ্রামে বৌদ্ধ মন্দিরের বিপরীতে একটি সড়ক আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের নামে করা হয়েছে। পটিয়ায় মুন্সেফ বাজার থেকে উত্তরে তাঁর নামে একটি সড়ক নাম করণ করা হয়েছে। তাঁর লেখা ও কর্মের মূল্যায়ন করে একাধিক গ্রন্থ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদপত্রগুলো তাঁর মৃত্যু ও জন্মদিনে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করে। যদিও এসব এই সাধক পুরুষের সামগ্রিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়। তবে বর্তমান প্রজন্মের দাবী পটিয়া সুচক্রদন্ডী গ্রামে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ একাডেমি ও পুঁথি গবেষণা ইন্সটিটিউট স্থাপন করা হোক। পুঁথি সাহিত্যের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকুক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ।
তাঁর মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় ড. এনামুল হক লিখেছেন- “সত্যি কি সব শেষ হয়ে যাবে?মাস্টার আবদুল করিম মারা গেছেন। কেরানি আবদুল করিম দেহত্যাগ করেছেন। কিন্তু সাহিত্য বিশারদ মরেননি। তিনি মরতে পারেন না। কারন চিত্ত, বিত্ত, জীবন এবং যৌবন- এ সমস্তই চঞ্চল, কিন্তু কীর্তিমান ব্যক্তি চিরঞ্জীবি। কীর্তিমান সাহিত্যবিশারদ আজও জীবিত।
চেয়ারম্যান মো. ছৈয়দ প্রতিষ্ঠিত ‘সাহিত্য বিশারদ স্মৃতি সংসদ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
এই সংগঠন বিভিন্ন গুণীজনকে আজীবন সাহিত্যবিশারদ সম্মাননা দিয়ে থাকেন এবং প্রতি বছর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিতে স্বর্ণপদক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন, যা প্রশংসার দাবীদার। পটিয়ার সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সামাজিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মৃত্যু দিবস পালন করে থাকে। এ সাহিত্য সাধক তাঁর বিশাল কর্মময় জীবন অতিবাহিত করে ১৯৫৩ খ্রি: ৩০ সেপ্টেম্বর পরলোক গমন করেন। বাড়ির পাশেই পারিবারিক কবরস্থানে প্রতি বছর ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তথ্যসূত্র : ড. আহমদ শরীফ লিখিত বিভিন্ন পুস্তক, লেখক, কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, বাংলা একাডেমির গবেষক ও পরিচালক তপন বাগচী ও এস.এম.এ.কে. জাহাঙ্গীর কর্তৃক প্রকাশিত পটিয়া’র ইতিহাস ও ঐতিহ্য গ্রন্থ।