পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের

82

রাঙ্গুনিয়ায় পান চাষিরা ভালো নেই। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন তারা পান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে উপজেলার চাষিদের মধ্যে দিন দিন পান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চাষি ও কৃষি বিভাগের ভাষ্য, এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পান চাষে ফলন বেশি হয়। উৎপাদন খরচ বেশি হলেও বছরের অধিকাংশ সময়ই দাম ভালো পাওয়া যায়। তাই অন্যান্য ফসল ছেড়ে চাষিরা পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে রাঙ্গুনিয়ায় পান চাষে বিল্বব ঘটাবে। রাঙ্গুনিয়ার পানের কদর চট্টগ্রাম সহ বিদেশে যাচ্ছে। অর্থের অভাবে চাষিরা ব্যাপক পান চাষ করতে পারছেনা। জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ার মরিয়াম নগর ইউনিয়ন, পারয়া স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের পান চাষ হয়। এর মধ্যে মরিয়াম নগর ইউনিয়নে পান চাষ বেশি হয়। ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়ন তিনটিতে অনেক পানের বরজ রয়েছে। প্রত্যেক বরজে সারি সারি পানের লতা। প্রতিটি লতা দুইপাশে তার ঢলঢলে পাতা বিছিয়ে দিয়েছে, যা দেখে ভালোলাগায় মন জুড়িয়ে যাবে যে কারও। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার জানান, দিন দিন এ উপজেলায় পানের চাষের আগ্রহ বাড়ছে। সরকারি সহায়তা ও স্বল্পসুদে ঋণ পেলে আগামীতে এ উপজেলায় পানের চাষ আরও বাড়বে। চাষিরা জানান, পান গাছ লাগানোর ছয় মাসের পর থেকেই ফলন পাওয়া যায়। আর একবার লাগানো গাছ থেকে প্রায় ১৫-২০ বছর অনায়াসে সংগ্রহ করা যায় পান পাতা। ধানসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় পান চাষে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।
এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পানের ফলন ভালো হয়েছে। একইসঙ্গে বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় খুশি পান চাষিরা। উপজেলার মরিয়াম নগর ইউনিয়নের পরাশ পাড়া গ্রামের চাষি আবদুল খালেক, স্বনির্ভর ইউনিয়নের শফিউল আলম, রানা দাশ, এবং পারয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আফজল হোসেন জানান, এ বছর পানের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। এক বিড়া পান ৫০ থেকে ৬০ দরে বিক্রি করেছেন তারা। স্বল্পসুদে ঋণ পেলে পান চাষ আরও বাড়ানো যেত বলেও জানান তারা। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে পান চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। এ বছর পানচাষিরা ভাল ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়েছেন। আগামীতে কৃষকরা পানচাষে আরও আগ্রহী হবেন বলে আমি আশা করি। রাঙ্গুনিয়ার পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারসহ বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে বলে জানান।