পাঠকের কথা

71

চট্টগ্রামবাসী ও দৈনিক পূর্বদেশ
এক বৃন্তে দু’টি ফুল

হাজী আবদুর রহিম

হাঁটি হাঁটি পা পা করে বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীর প্রিয় দৈনিক ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ এর এগারো বছরে পদার্পণের এ মুহূর্তে আমরা চট্টগ্রামবাসী হৃদয়ের ভালবাসা দিয়ে বীর বাঙালির বিজয়ের মাসে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বৃহত্তর চট্টগ্রামের মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরতে শত প্রতিকূলতা – বাঁধা ডিঙিয়ে আজ থেকে এক দশক পূর্বে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের পূর্ব দিগন্তে উদীয়মান সূর্যের মত উদিত হয়েছিল ‘দৈনিক পূর্বদেশ’। ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ তাঁর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চট্টগ্রামবাসীর সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা, তার সমাধানে ভূমিকা রাখা, জাতীয় ও আঞ্চলিক দুর্যোগে নগরবাসীর পাশে থেকে সহযোগিতা করে সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে চট্টগ্রামবাসীকে অকৃত্রিম ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসী ও ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ যেন আজ এক বৃন্তে দুটি ফুল। যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ভালবাসায় ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ ও চট্টগ্রামবাসীর মাঝে সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে সেই প্রিয় ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ এর এগারো বছরে পদার্পণে পত্রিকা’র সম্মানিত সম্পাদক, প্রকাশক, পাঠক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং একঝাঁক সৃষ্টিশীল সংবাদকর্মীদের প্রতি রহিল চট্টগ্রামবাসীর অভিনন্দন – শুভেচ্ছা ও দোয়া। পরিশেষে মহান আল্লাহর দরবারে কামনা করছি ‘চট্টগ্রামবাসী ও দৈনিক পূর্বদেশ’ এই অকৃত্রিম ভালবাসা যেন চিরদিন অটুট থাকে।

জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

দীপ্ত দেবনাথ

মাত্র বছর দু’য়েক আগে থেকে আমি দৈনিক পূর্বদেশ পড়া শুরু করি। পাঠক মহলে সাড়া জাগানো, সর্বস্তরের গণমানুষের প্রিয় এবং বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্বাসযোগ্য খবর প্রচারে আধুনিক সংবাদপত্র দৈনিক পূর্বদেশ প্রথম দিনেই আমার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে। গণমানুষের চাহিদা পূরণে দৈনিক পূর্বদেশ একটি সময়োপযোগী পরিবেশনা। এই পত্রিকার মহান প্রতিষ্ঠাতা সমাজহিতৈষী ও শিক্ষানুরাগী মাস্টার নজির আহমেদ ছিলেন অতি সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে ওঠা এক ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব। দেশ ও জাতির জন্য মানবকল্যাণমূলক কর্মকাÐের মাধ্যমে সাধারণের ভালোবাসায় উদ্ভাসিত এবং অসা¤প্রদায়িক এই মহান শিক্ষক আমাদের মতো নতুন প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন। তাই আজকের দিনে বিন¤্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মরহুম মাস্টার নজির আহমদকে।
সম্পাদকীয়-উপসম্পাদকীয়, আমাদের মতো নতুনদের জন্য পাঠকের কথা, সমকালীন বিষয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, অপরাধমূলক, শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের খবরাখবর ইত্যাদি সবকিছুরই বিশ্লেষণধর্মী পরিবেশনায় মাত্র ১০ বছরেই অপূর্ব হয়ে ওঠেছে নির্ভরতার আশ্রয়স্থল এই পত্রিকাটি।
জ্ঞান নির্ভর নানাবিধ রচনায় সিক্ত এবং অনলাইন সুবিধার কারণে চট্টগ্রামের এই আঞ্চলিক পত্রিকাটি পাঠকদের সন্তুষ্টি অর্জনে অনেক আগেই চট্টগ্রামের সীমানা অতিক্রম করেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকাটি মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছে। সুতরাং ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া এবং ১১ বছরে পদাপর্ণ করা এই কিশোরের জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

দুর্বারগতিতে এগিয়ে যাক দৈনিক পূর্বদেশ

তাওহীদুল ইসলাম নূরী

চলমান একবিংশ শতাব্দীর শেষ চমকপ্রদ দিন ১২.১২.১২ তথা ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় পত্রিকা ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ ঐতিহ্য এবং সফলতার দশ বছর পেরিয়ে গৌরবের এগারতম বছরে পা রাখতে যাচ্ছে আজ। সংবাদপত্রকে বলা হয় জাতির আয়না, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আর পূর্বদেশ সেই প্রতিষ্ঠার পর থেকে আপামর জনসাধারণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান,দাবী আদায়,নানান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই নবীন বয়সেই পূর্বদেশ চট্টগ্রামের মানুষের নিকট এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তা ভাবতেও বড় বেশি অবাক লাগে। বস্তুত, গত দশ বছরে পূর্বদেশ কল্পনাতীত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সকলের।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সাপ্তাহিক, বিশেষ বুলেটিন ও সাময়িকীর পাশাপাশি প্রতিদিন প্রকাশিত হয় অসংখ্য পত্রিকা। প্রতিদিন প্রকাশিত এসব সংবাদপত্রের মধ্যে একশ কপি কিংবা এরও নিচে প্রকাশিত হয় এমন পত্রিকাও রয়েছে। ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠী বিশেষের স্বার্থহাসিলের জন্য প্রকাশিত ঐসব নামেমাত্র পত্রিকার সাথে জড়িত কিছু সংবাদ ব্যবসায়ীর জন্য অনেক সময় গোটা সাংবাদিক সমাজকেই বেকায়দায় পড়তে হয়। সেই জায়গায় পূর্বদেশের ক্ষেত্রে দেখা যায়, পত্রিকাটি আজ শুধুমাত্র চট্টগ্রামের নয় সমগ্র দেশের অগণিত মানুষের মুখপত্রের ভূমিকা পালন করছে। নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর না হয়ে সকল মতের সকল মানুষের হওয়ার প্রয়াস পত্রিকাটির প্রতিদিনের সংবাদে চোখ রাখলেই বুঝা যায়। সেজন্যইতো একদম অল্প সময়ে আজ পত্রিকাটি চট্টগ্রামের মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
দৈনিক পূর্বদেশ আজকের এই অবস্থানে আসার পিছনে পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা অসংখ্য শিক্ষা ও কল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্বেয় মাস্টার নজির আহমদসহ যাদের অবদান এবং আজকের এই অবস্থান ধরে রাখার জন্য শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ যারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দশম বছরে পদার্পণের এই শুভক্ষণে একটাই কামনা