পরিবহন চালক-হেলপারদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা ট্রাফিক সাইন ও আইন মেনে গাড়ি চালালে দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে

9

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, ওভার টেকিং, ওভারলোড, ওভার স্পিড ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। যাত্রী, চালক ও পথচারীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রেখে গাড়ি চালাতে হবে। ট্রাফিক সাইন ও আইন মেনে গাড়ি চালালে সড়কে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। ১৯ অক্টোবর নগরীর অক্সিজেন মোড়ে ট্রাফিক-উত্তর বিভাগ আয়োজিত পরিবহন চালক-হেলপারদের ট্রাফিক সচেতনতা ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮, ট্রাফিক সাইন ও ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ মেনে গাড়ী চালাতে হবে। মাদক সেবন বা চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ী চালানো যাবেনা। যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা, সড়ক দখল করে গাড়ি পাকিং, অযথা হর্ণ বাজানো, একটানা ছয় ঘন্টার বেশি সময় ধরে গাড়ি চালানো, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ধর্মীয় স্থাপনা ও দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় সাবধানে গাড়ি চালাতে হবে। শহর এলাকায় হাইড্রোলিক হর্ণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। যাত্রী, পথচারী, সড়কের অব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক নিয়মকানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও সচেতনতাসহ আরও কিছু বিষয় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। দুর্ঘটনা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব।
উপ-পুলিশ কমিশনার জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যুবরণ বা পঙ্গুত্ববরণ তা কখনো আমাদের কাম্য নয়। নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। হাইওয়ের তুলনায় শহরে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কম হলেও পুলিশের একার পক্ষে যানজট নিরসন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আবার দুর্ঘটনার জন্য শুধু গাড়ির চালক-হেলপারদের দায়ী করলে হবেনা। যিনি গাড়ির মালিক তাকে এবং পথচারীদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে ইঞ্জিন, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক, চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়।
সিএমপি ট্রাফিক-উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী মোহাম্মদ হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মমতাজ উদ্দিন, টিআই (প্রশাসন) মো. জহুরুল ইসলাম সরকার, টিআই (বায়েজিদ বোস্তামী) মো. আলমগীর হোসেন, টিআই (চান্দগাঁও) উত্তম কুমার দেবনাথ, টিআই (মুরাদপুর) মো. ই¯্রাফিল মজুমদার, টিআই (প্রবর্তক) বিপুল পাল ও টিআই (মোহরা) মো. মোশাররফ হোসেনসহ ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্টরা। কর্মশালায় বিভিন্ন পরিবহনের দুই শতাধিক চালক-হেলপার অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি