পণ্ডিত বিজন চৌধুরী স্মরণে আনন্দী সঙ্গীত একাডেমি

18

আনন্দী সঙ্গীত একাডেমি আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দেশবরেণ্য তবলাগুরু পণ্ডিত বিজন চৌধুরী’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ ও দুইদিনব্যাপী উচ্চাঙ্গসংগীত অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে উদ্বোধক ছিলেন প্রফেসর রীতা দত্ত। গীটারশিল্পী সভাপতি বিশুতোষ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত¡ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হানিফ মিয়া। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তবলাশিল্পী সুরজিৎ সেন। পণ্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর শিষ্যদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন রাজু দাসগুপ্ত।
প্রধান অতিথি ড. হানিফ মিয়া বলেন, পণ্ডিত বিজন কুমার চৌধুরী ছিলেন অসাধারণ একজন ব্যক্তিত্ব। দেশ-বিদেশে প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞদের সাথে তবলা সঙ্গত করে সুনাম কুড়িয়েছেন। দেশের সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতে পণ্ডিত বিজন কুমার চৌধুরীর তবলা সঙ্গত অন্য এক মাত্রার সৃষ্টি হতো। বর্তমানে তাঁর স্থান পূরণের অভাববোধ করছে সংগীতবোদ্ধারা।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বংশীবাদক ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, সংগীত ভবন অধ্যক্ষ কাবেরী সেনগুপ্তা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তবলাশিল্পী সুরজিৎ সেনের পরিচালনায় আনন্দী সঙ্গীত একাডেমির শিক্ষার্থী সৌম্য চক্রবর্তী, রাজদ্বীপ দত্ত, অনিন্দিতা দত্ত, তনুশ্রী সেন, অর্ক নন্দী, আদিত্য ভট্টাচার্য, আদিত্য চৌধুরী, অনিক বড়ুয়া, রাতুল সেন, জেনি ধর, দিপাঞ্জল দাশ, তীর্থ বড়ুয়া, পৃথ্বিরাজ ভট্টাচার্য, দুর্জয় বড়ুয়া, প্রান্ত দাস, মনোজ ভাস্কর রিভু, পৃথিজিৎ দেব সমবেত তবলা লহরা পরিবেশন করেন।
একক সংগীতে অংশগ্রহণ করেন শিল্পী রাজিব দাস, শিল্পী দোলন কানুনগো (মোহন বীণায় রাগ পরিবেশন), শিল্পী রাজু চৌধুরী (তবলা), শিল্পী প্রত্যয় বড়ুয়া অভি উচ্চাংগ সংগীত পরিবেশন করেন। তবলায় সহযোগীতা করেন শিল্পী জয় প্রকাশ ভট্টাচার্য। হারমোনিয়ামে সহযোগিতার করেন শিল্পী আল ইমরান। কথক নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী ময়ূরাক্ষী দাশ, তানপুরায় ছিলেন শিল্পী অমলেন্দু রাহা, শিল্পী সম্পদ বড়ুয়া। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তুর্ণা বড়ুয়া এবং অর্বিয়া রোদশী। বিজ্ঞপ্তি