পটিয়ার শান্তিরহাট-বুধপুরা সড়কের ড্রেন ও ফুটপাত বেদখল

97

পটিয়ার শান্তিরহাট-বুধপুরা রোডের শান্তিরহাট মুখে ড্্েরন ও ফুটপাত বেদখল বেদখল করে মার্কেট আর দোকান নির্মাণের ফলে বর্ষায় হাটাও দায় হয়েছে পড়েছে। এ কারণে অনেক আগেই যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়েছে এ সড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা ডুবে খালে পরিণত হয়। সে সময় সড়কে গাড়ি বা সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকার নির্মিত ড্রেন ও ফুটপাত দখল করে অনেকে মার্কেট তৈরি করেছেন। আবার অনেকে মার্কেটের সিঁড়ি ও বিভিন্ন দোকঘর নির্মাণ করেছেন। ভেঙে দিয়েছেন ড্রেনের কয়েকটি অংশে। এ কারণে রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে যান আর মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক চলাচলের অনুপযোগি হওয়ায় কাচা বাজার আবারও মহাসড়কের উপর চলে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে পটিয়ার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ছাড়াও আনোয়ারা উপজেলা লোকজন কালীগঞ্জ হয়ে যাতায়াতের জন্য সড়কটি ব্যবহার করে। গুরুত্ব বিবেচনায় পটিয়া আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর নির্দেশে রাস্তার উপর থেকে কাচা বাজার অপসারণ, সড়কের সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর থেকে কাচা বাজার সরিয়ে নিজস্ব জমিতে স্থায়ীভাবে বাজারটি প্রতিস্থাপন করা হয়। লোকজন যাতে বাজারে সহজে যাতায়াত ও এ রাস্তা ব্যবহারকারী লোকজন সুবিধা পায় সেজন্য নানাভাবে সড়কটি উন্নয়ন করা হয়। কিন্তু রাস্তার ফুটপাত দখল ও ড্রেন ভেঙে তাতে মার্কেট ও সিড়ি তৈরি করায় সড়কটি বর্ষায় পানি চলাচল ও শুকনে মওসুমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পয়নিস্কাশনের অন্যতম পথ হিসেবে তৈরি হয়েছে। এ কারণে সারা বছরই সড়কটি চলাচলের অনুপযোগি হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ায় ৫-৬ মাস ধরে বাজার আবারও মহাসড়কের উপর চলে আসতে শুরু করেছে। ড্রেন যে যেভাবে পেরেছে ভরাট করে ফেলেছে। জম জম সুপার মার্কেট তাদের সামনে ড্রেন ভেঙে ফেলেছে। তারা বিনা অনুমতিতে ড্রেন ভেঙে রাস্তার উপর নিয়ে এসেছে। এসব কারণে এ সড়কের সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, গুরুত্ব বিবেচনায় সড়কটির উন্নয়ন ও এর পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছিল। বাজারের জমিতে যেন বাজার থাকে সেজন্য সব ধরণের সুবিধা গড়ে দেয়া হয়। এরপর ড্রেন যে যেভাবে পেরেছে ভেঙেছে আবার যেভাবে পেরেছে ভরাট করে দখল করে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ সচেতন না হওয়ায় তারা এর সুফল পাচ্ছে না। সরকার যতই উন্নয়ন করুক সাধারণ মানুষ সচেতন না হলে এর কোন সুফল মিলবে না।
সবার আগে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। জম জম মার্কেট ড্রেন ভেঙেছে আর তাদের নোটিশ করে এ কারণ জানতে চাওয়া হবে। এরপর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।