নাজিরহাট-কাজিরহাট সড়ক মিনি পুকুর আকার ধারন করেছে

40

ফটিকছড়ির নাজিরহাট-রামগড় সেকশন-১সড়কের নাজিরহাট-কাজিরহাট অংশে কয়েকটি স্থানে ভেঙ্গে যাওয়াসহ বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে মিনি পুকুর আকারে পরিনত হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে ওই সড়কে যানবাহানসহ যাতায়াত করতে হচ্ছে লাক্ষো জনসাধারণকে। আর প্রতিনিয়ত ছোট বড় দূর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। সড়কটি টেন্ডার হওয়ার পরও এখানো কাজ শুরু না হওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-সুয়াবিল-কাজিরহাট (নাজিরহাট-রামগড়-১) সড়কটি ঢাকা-চট্টগ্রাম বিকল্প সড়ক হিসেবে নির্মাণ করেছিল সরকার। এ সড়কে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় ব্রিজ-কালভার্ট। প্রতিদিন অসংখ্য পন্যবাহী ট্রাক, জিপ, পিকআপ এবং যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রো, প্রাইভেট কার, সিএনজি অটোরিক্সা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। বিগত বছরে বন্যার তান্ডবে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সড়কে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে পথচারীরা হাটা দায় হয়ে পড়েছে বলে জানান। যদিও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করলেও নিত্যদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা লেগেইে রয়েছে বলেন যানবাহান চালকরা। আর সড়কটির এমন অবস্থার কারনে স্কুল, কলেজে আসা-যাওয়াকারী ছাত্র-ছাত্রীরা সময় মত যেতে পারছেনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনটি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, পড়ালেখার ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। সুয়াবিল ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব চৌধুরী বলেন, নাজিরহাট থেকে সুয়াবিল বৈদ্যরহাট বাজার এলাকা পর্যন্ত সকড়টি ঢেন্ডার হয়েছে বলে শুনেছিলাম। সড়ক সংস্কার হলে এলাকাবাসীর যাতায়াতে দুর্ভোগে কমবে। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিডি অফিসার এস এম হেদায়াত মোবাইল ফোন রিচিব না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফীন এর নির্দেশে স্থানীয় ব্রীক ফ্রিল্ড মালিকরা ভাঙ্গা ইট দিয়ে সড়কটি যাতায়াত’র উপযোগি করা হলেও বর্ষার কারনে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই সড়কে চলাচলকৃত জনসাধারনকে। নাজিরহাট-সুয়াবিল-হারুয়ালছড়ি-কাজিরহাট সড়কের ৫কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার উন্নয়নে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ্য করে ফটিকছড়ির এমপি, বাংলাদেশ ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান, আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাÐারী বলেন, অচিরে কাজ শুরু হবে।