দেওয়ানহাটে এনজিও নাম ব্যবহার করে অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে উধাও

79

চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার দেওয়ানহাট এলাকায় বেসরকারি সংস্থা আরডিএস নাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের নিকট থেকে অর্ধ কোটি টাকার অধিক সঞ্চয় নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দোহাজারী পৌরসভার দেওয়ান হাট এলাকার জনৈক নাজিম উদ্দিনের ৩ তলা ভবনের ২য় তলায় রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (আরডিএস) নাম ব্যবহার করে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট অফিস ভাড়া নেয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা করার কথা বলে এক সপ্তাহ পূর্বে অফিস ভাড়া নেয় ৮/১০ জন লোক। তারা অফিসিয়াল ফার্নিচার এনে কয়েক দিন অফিস পরিচালনা করে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া এলাকার হত-দরিদ্র মহিলাদেরকে ঋণ দেয়ার কথা বলে সঞ্চয় সংগ্রহ করে। এক লক্ষ টাকা ঋণের বিপরীতে ১০ হাজার, দুই লক্ষ টাকা ঋণের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা, পাঁচ লক্ষের জন্য ৫০ হাজার টাকা হিসেবে কয়েক’শ গ্রাহকদের নিকট থেকে আমানত ও সঞ্চয় হিসেবে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ সকল গ্রাহকদের ঋণ বিতরণের তারিখ নির্ধারিত করে গত ২৩ ডিসেম্বর অফিস কক্ষে তালা দিয়ে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। গত ২৪ ডিসেম্বর সংবাদ পেয়ে চন্দনাইশ প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর গ্রাহকদের মধ্যে পূর্ব দোহাজারীর মুন্নি আকতার, রুস্তম আলী, দেওয়ানহাট এলাকার মো. সোহেল, বড় পাড়া এলাকার আনোয়ারা বেগম ও গোলজার বেগমসহ অনেকেই অভিযোগ করেন এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদেরকে সর্বস্বান্ত করে ঋণ দেয়ার কথা বলে আরডিএস নামক বেসরকারি সংস্থা এনজিও উক্ত এলাকা থেকে গ্রাহকদের সঞ্চয়ের অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাড়ির মালিক নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ৮/১০ জনের একটি পুরুষ- মহিলা দল ঘর ভাড়া হিসেবে নেয়। আগামী ১ জানুয়ারি ভাড়াটিয়া চুক্তিনামার মাধ্যমে মাসিক ৮ হাজার টাকা ভাড়া ও ২ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেয়ার মৌখিকভাবে কথা হয়। কিন্তু ভাড়াটিয়া চুক্তিনামা সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে আসবাবপত্র নিয়ে ১ সপ্তাহ আগে কার্যক্রম শুরু করে। ইতোমধ্যে গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঘরে তালা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ভাড়াটিয়াদের মধ্যে জয়নাল আবেদীন (৫৫), পিতা মৃত মজিবুর রহমান, সাং ১/১ মীরবাগ, শান্তি নগর, রমনা, ঢাকার ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে বলে বাড়ির মালিক নাজিম জানান। তাদের ব্যবহারিত মোবাইল ফোন নম্বর ০১৭১৪-৬২৪৯৫০, মাসুদ ০১৮৯২-৫৪৫৭০৫ এতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইল ফোন দু’টি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ কেশব চক্রবর্ত্তী বলেছেন, থানায় এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ না দেয়ায় তিনি বিষয়টি জানতে পারেননি বলে জানান। তবে, বিষয়টি তিনি তদন্ত পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।